দামুড়হুদায় নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত বোরো ধানক্ষেত : দিশেহারা কৃষক

দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বোরো ধানক্ষেতে নেকব্লাাস্ট (শিষ মরা) রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বোরো আবাদের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে ধানক্ষেতগুলো এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ রোগ প্রতিরোধে এলাকায় কৃষকদের ক্ষেত পরিদর্শন করে এর প্রতিরোধে করনিয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
দামুড়হুদা উপজেলায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ৮হাজার ৯৪০হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১০হাজার ১৬৯ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১২২৯ হেক্টর জমিতে বেশী। তবে কিছুটা ফলন কিছুটা কম হতে পারে।
উপজেলার পুড়াপাড়া,উজিরপুর,কার্পাসডাঙ্গা,কুড়–লগাছি,চন্ডিপুর,সাড়াবাড়ীয়া,বলদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠের ধানক্ষেতে এই নেকব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে ধানের পাতা সবুজ দেখা গেলেও শিষ শুকিয়ে মারাযাওয়ার কারনে চিটা হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক সুকুমার কর্মকার বলেন, এবার একবিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ধান প্রায় শিষ বেরিয়ে শেষ হয়েছে ২০/২৫ দিনের মধ্যে ধান পেকে যাবে। এমন সময় তার জমির ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। কোন বালাই নাশক দিয়ে ঠিকমত কাজ হচ্ছে না। এই রোগ সারা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়লে ধানের বেশির ভাগ চিটা হয়ে যাবে এতে সে মারাতœক ক্ষতির আশংখা করছেন।
উপজেলার সীমান্তবর্তী কুড়–লগাছি গ্রামের কৃষক হোসেন আলি,মনিরুজ্জামান ও পীরপুর কুল্লা গ্রামের মুনছুর আলি ও শওকত আলি বলেন, আর মাত্র ২০/২৫ দিনের মধ্যে তাদের মাঠে ধান কাটার কাজ শুরু হবে। এমন সময়ে ক্ষেতে শিষ মরা রোগ দেখা দিয়েছে। দুর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে ধান পেকে গেছে। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যাচ্ছে ধানের শিষগুলো মরে শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। এই রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে ব্যাপক ক্ষতির আশংখা করছেন তারা।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান জানান,ূ উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে। তবে তা ব্যাপক আকার ধারন করেনি। এই বোরো ধানে তাপমাত্রা ২৭/২৮ ডিগ্রি সহনশীল কিন্তু জেলায় ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রচন্ড খরা ও ভ্যাপসা গরম,রাতে ঠান্ডা পড়ার কারণে ধানক্ষেত নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করছি ও এর প্রতিরোধে কৃষকদের কে করনিয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। পরামর্শ মত কৃষকরা ব্যবস্থা নিলে এই রোগ আর বাড়বেনা বলে ও তিনি আশা করছেন। তবে লক্ষমাত্রার চেয়ে চাষ বেশি হলেও এই ভাইরাস জনিত রোগের কারনে ফলন কিছুটা কুমে যেতে পারে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More