দীর্ঘ সাত বছর পর আজ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন  

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন : অর্ধলক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটানোর উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ সাত বছর পর আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। মাঠে নৌকার আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ তৈরি ও প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। সম্মেলনের বিষয়ে কথা হয় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু, সুন্দর ও জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এই সম্মেলনে ২১৮ জন কাউন্সিলর ও ৪০ হাজার ডেলিগেটের কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দল ও সমমনা সংগঠনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সব মিলে অর্ধলক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবার জন্য আপ্যায়নের সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

সম্মেলন ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে জেলা শহর চুয়াডাঙ্গা। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে পদপ্রত্যাশীদের ও নেতা-কর্মীদের ছবিসহ বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা শহর ও আশপাশের এলাকা। তৈরি করা হয়েছে অর্ধশতাধিক তোরণ। আলোকসজ্জার বর্ণিল সাজে সেজেছে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। সম্মেলন উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি’কে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদকে সদস্য সচিব করে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও আপ্যায়ন, শৃঙ্খলা, মঞ্চ-সাজসজ্জা, অভ্যর্থনাসহ বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কর্মসূচির প্রথমেই রয়েছে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। এরপর বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠানের শুভসূচনা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পুষ্পস্তবক অর্পণ। এরপর মঞ্চে অতিথিদের আসন গ্রহণের পর শুরু হবে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। উপস্থিত থাকবেন খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। এরপর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সবাই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সম্মেলন মঞ্চে শুধুমাত্র জেলা আওয়ামী লীগের ৭৯ সদস্য ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আসন পাবেন না বা বসতে পারবেন না। সম্মেলন সফল করতে এই শৃঙ্খলা ও সহোবতটুকু সকলকে মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ সম্মেলন শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ সম্মেলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে আগামী ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সেই পদক্ষেপের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করাই হচ্ছে এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। কাউন্সিলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে সভাপতি ও আজাদুল ইসলাম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More