নভেম্বরে খুললে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নইলে মূল্যায়নে উত্তীর্ণ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার: নভেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থী বা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। করোনার কারণে তা সম্ভব না হলে স্কুলগুলো নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে তুলে দেবে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ১৫ দিন পর নেয়া হবে এইচএসসি পরীক্ষা। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এ বৈঠক হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ১৫ দিন পর পরীক্ষা নিতে আমরা প্রস্তুত। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এ বছর জেএসসি পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এবং স্কুলগুলো নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে পারবে। যেহেতু পরীক্ষা আমরা নিতে পারবো কী পারবো না এখনও জানি না, তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে নভেম্বরের দিকে স্কুলগুলো খুলে দিতে পারলে পরীক্ষা নেয়া হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বছরের প্রথম আড়াই মাসের ক্লাস কার্যক্রম, সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রমের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। যে প্রতিষ্ঠান যতটুকু পড়াতে পেরেছে, ততটুকুর ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে। এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গাইডলাইন দেবে। সিলেবাসের কতটুকু বা কোন অংশ পড়ানো হবে সেটি নির্ধারণে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটকে (বেডু) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গাইডলাইন তৈরির ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণিতে সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার প্রয়োজনীয় অংশটুকু নবম শ্রেণিতে পড়ানোর নির্দেশনা থাকবে। এমন নির্দেশনা পাঠানো হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রণীত সংশোধিত সিলেবাস অনুসারে পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বছরের প্রথম আড়াই মাস পড়ানোর অংশ এবং টেলিভিশন ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের উপরে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মূল্যায়নের ব্যবস্থা করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে হবে। সিলেবাসের যে অংশগুলো বাদ যাচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে অপরিহার্য অংশগুলোর ব্যাপারে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। এ বছর জেএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না বলে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এসব শিক্ষার্থী কিভাবে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠবে সে ব্যাপারটি নিয়ে কোনো নির্দেশনা ছিলো না। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন জানান, আজকের বৈঠকে মূলত জেএসসি পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে বেডু গাইডলাইন তৈরি করবে। পরে তা আমরা স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেবো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More