নির্বাচনী এলাকায় তিনটি অফিস রেখে অতিরিক্ত অফিস ভেঙে ফেললেন প্রার্থীরা

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর (আনারস) কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পর গতকাল শনিবার নির্বাচনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও সহিংস ঘটনার অভিযোগেওই ইউনিয়নে অভিযান চালানো হয়। আচরনবিধি বাস্তবায়নে ও তা মানাতে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অতিরিক্ত নির্বাচনী ক্যাম্পও অপসারণকরা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়। দলীয় প্রতীক নির্ধারণ হলে তা প্রকাশ্যে রূপ নেয়। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শুকুর আলী এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে পড়েন। ফলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে। প্রচার প্রচারণায় একে ওপরের দিকে তীর ছুঁড়ে বক্তব্য দিতে থাকছেন। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে চাপাক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে শুক্রবার রাতে। নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সহিংসতায় উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তরা, রির্টানিং অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে নির্বাচনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের সত্যতা মেলায় নৌকা ও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পেয়ে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় ৩টি করে অফিস রেখে বাকি সব অফিস ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন। ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের অফিস রয়েছে আক্তার মেম্বারের বাড়ি সামনে, বলদিয়া (মাঠপাড়া), হুলিয়ামারী (গোলাপনগর পাড়া)। আনারস প্রতীকের গিরীশনগর বাজার, ছোটশলুয়া স্কুলপাড়া, বলদিয়ায় বাবলুর বাড়ি। ঘোড়া প্রতীকের বলদিয়া মাদরাসা পাড়া, ছোটশলুয়া পূর্বপাড়া, গিরীশনগর বাজারে।
এসময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম জানান, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অফিস তৈরি করেছেন। যেখানে হট্টগোল হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যেককে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৩টি করে অফিস রেখে বাকিগুলো অপসারণ করেছি। অনেক জায়গাতেও তারা স্বেচ্ছায় অপসারণ করেছেন। এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, আইন মানা সহজ। না মানলেই ঘটে বিপত্তি। প্রার্থীরা যেনো আইন মেনে চলেন তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ব্যতয় ঘটলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর তিনটি অফিস রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকীগুলো অপসারণ করা হয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More