পরকীয়া সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলা-ই প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করে মামুন : গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তি

চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আরা খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিল কুয়েত থেকে বাড়ি ফিরছেন। পরকীয়া সম্পর্ক ভুলে যেতে বলেছিলেন জেসমিন আরা। এ কারণেই ক্ষুব্ধ হয় পরকীয়া প্রেমিক একই গ্রামের মামুন হোসেন। পরবর্তীতে সে কৌশলে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে জেসমিন আরা আয়নাকে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় জেলা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার প্রবাসী স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিল দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন। তাই একই গ্রামের ওসমান মণ্ডলের ছেলে পরকীয়া প্রেমিক মামুনকে সতর্ক করে দেয় সে যেন আর তাকে কল না দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এ কারণেই ক্ষুব্ধ হয় মামুন। সে তার ভাগ্নে রাব্বিকে ব্যবহার করে শরবতের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে আয়নাকে পান করায়। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে আয়না অচেতন হয়ে পড়লে তার ঘরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কাটে মামুন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুর রউফ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান অভিযুক্ত মামুন হোসেনসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ হত্যা কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি, চেতনানাশক ওষুধ মেশানো পানির গ্লাস, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল ফোন, ঘাতকের স্যান্ডেল ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার যাবদপুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আরা আয়নাকে বিছানায় (৩৮) গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More