প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে কর্মশালা

মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ উচ্চ শিক্ষা বিকাশে অন্যন্য দৃষ্টান্ত
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে শিক্ষা সহায়তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ চিকিৎসা এবং উচ্চ শিক্ষার্থে বৃত্তিপ্রদানের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়। গতকাল শনিবার সকার ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত অনলাইন কর্মশালা জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসরিন আফরোজ। তিনি বঙ্গবন্ধ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ এ উদ্যোগ সর্বাত্ম সফল করার আহ্¦ান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের একজন শিক্ষার্থীও যেনো অর্থের অভাবে ঝরে না পড়েন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এ ট্রাষ্ট গঠন করেছেন। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে ৬ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ¯œাতক শ্রেী পর্যন্ত ৭২ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা জনিত কিম্বা অন্য কোন অসুস্থতার কারণেও যাতে কোন দরিদ্র্য বা পিছিয়ে পড়া পরিবারের কোন সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ না হয় তাও নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মিলিতভাবে এ উদ্যোগ সফল করতে পারলে বাল্য বিয়ে যেমন রোধ হবে, তেমনই মেধাবীদের মেধার বিকাশ হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুনিরা পারভীনও বক্তব্য দেন। তিনি এ কার্যক্রম সফল করার বিষয়ে নিজের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানোর তাগিদ দেন। অনুষ্ঠানের মূল বিষয় বিষদে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক যুগ্ম সচিব াজী দেলোয়ার হোসেন। তিনি সারা দেশে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ¯œাতক পর্যায়ের শিক্সার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি কীভাবে বরাদ্দ দেয়া হয় এবং এ বিষয়ে প্রকৃত দরিদ্র শিক্ষার্থীরা যাতে উপবৃত্তি পান তা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কী কী করা দরকার তার বর্ণনা দেন। একই সাথে তিনি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতেও আর্থিক সহায়তা প্রদান কীভাবে এবং কতোটা দেয়া হয় তারও বর্ণনা দেন। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্বপালনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন মানুষের সন্তান, যিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। জনদরদি ছিলেন। দেশে শতভাগ শিক্ষা সম্প্রসারণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা দেশের সকল শিক্ষার্থীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের যাতে উচ্চ শিক্ষার পথে কোন ভাবেই অর্থ অন্তরায় না হয় তা নিশ্চিত করতেই এ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। সংসদে পাশ করে আইনেও উন্নীত করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচও দেয়া হয়। দুর্ঘটনা কিম্বা অন্য কোন জটিল রোগ হলে প্রয়োজনীয় প্রমানপত্রসহ ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে থাকা নিয়ম মেনে আবেদন করলে কমপক্ষে দশ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়। তবে মনে রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের যাবতীয় কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদন করা হয়। ফলে সব কিছুই ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করতে হবে। এছাড়াও উচ্চ শিক্ষা বিকাশে দেমের অভ্যন্তরে এমফিল ও পিএইচডি গবেষনা ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যেমন সচেতন করতে হবে, তেমনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানসহ শিক্ষম-লীদেরও বিস্তারিত জানতে হবে। শিক্ষক জানলেই শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর এ সহায়তা পাওয়ার সুযোগ নিতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অতিরিক্ত পরিচালক, চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার, জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতিসহ অনেকেই মতামত পেশ করেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতি দেন পরিচালক ও যুগ্ম সচিব কাজী দেলোয়ার হোসেন। তিনি আগামীতে চুয়াডাঙ্গার আরও বেশি সুধি এবং কর্মকর্তাদের এ কর্মসূচিতে সংযুক্ত করারও ইচ্ছে ব্যক্ত করেন এবং মহামারি করোনা কাল কাটিয়ে উঠার পর সরাসারি কর্মশালাসহ সচেতনমূলক আরও পদক্ষেপ গ্রহনের ইচ্ছে ব্যক্ত করে আয়োজনের ইতিটানেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More