বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দাবি ধোঁকাবাজি: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক কিছু আশা করেছিলাম, আমাদের সব আশা পূরণ হয়নি। আমাদের সব দাবি পূরণ হলে আমাদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজন হতো না। এক বছর হলেও কোনো দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দাবিকে ধোঁকাবাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল নির্বাচন নির্বাচন করে আমাদের সামনে একটি মুলা ঝুলানো হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো ধোঁকাবাজিতে বিশ্বাস করব না। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, আমরা নির্বাচিত সরকার চাই, তবে (তার আগে) শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ রুবেল ও সাজ্জাদের কবর জিয়ারত শেষে নীলফামারী শহরে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এনসিপি জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ।

নাহিদ বলেন, মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে হবে। এজন্য একটি নতুন সংবিধান লাগবে। বর্তমান সংবিধানকে আওয়ামী লীগের সংবিধান ও মুজিববাদের সংবিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তি এনসিপির উত্থান ঠেকাতে হামলার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা এখনো এটাই মনে করি, আমাদের এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা এখনো দেখছি, এ অভ্যুত্থানের আগের সেই পুরোনো সিস্টেম, পুরোনো কালচার, পুরোনো নিয়ম-কানুনে চলার ও ফেরত যাওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। নাহিদ আরও বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান যারা সফল করেছে তারা এখনো জাগ্রত আছে এবং রাজপথে আছে। এখনো যদি কেউ মনে করে পুরোনো দখলদারিত্ব এবং পুরোনো সন্ত্রাসের রাজত্ব এখনো ফেরত আসবে তাদের পরিণতিও কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার মতো হবে। তিনি বলেন, এর আগেও আমাদের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করেছি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। হামলা করে নতুন রাজনীতিকে দমন করা যাবে না।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অভ্যুত্থান কেবল সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়। সরকার পরিবর্তনের আগে ফ্যাসিস্ট উৎপাদনের যত পন্থা আছে সব বন্ধ করতে হবে। এ সময় সংবিধানের নামে যা আছে তা সংবিধান নয় বরং তা আওয়ামী বিধান মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন, নতুন সংবিধান প্রয়োজন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More