বাংলার মাটিতে স্বৈরাচারী শক্তিকে আর কোনো স্থান নয়: কলিমউদ্দিন আহমদের নতুন আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ও জনগণের ভোটাধিকারের প্রতিপালন এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন সম্প্রতি ছাতক ও দোয়ারাবাজারে এক পথসভায় স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন, যে বাংলার মাটিতে আর কখনোই স্বৈরাচারী শক্তিকে কোনোভাবেই আশ্রয় দেওয়া হবে না।

৮ অক্টোবর বিকেলে ছাতক দোয়ারাবাজারে অনুষ্ঠিত লিফলেট বিতরণ ও প্রচার মিছিলের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিলন বললেন, আজকের বাংলাদেশবাসী পরিবর্তনের পানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা চান মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন জানান, এই অঞ্চলের জনগণ এখন ‘ধানের শীষ’ প্রতীককে সমর্থন করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কারণ তারা বিশ্বাস করে, এই প্রতীকই তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপি ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে মুক্ত গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি জানাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি জনগণের আশা, বিশ্বাস এবং অধিকার রক্ষার প্রতীক। তাই দমন-পীড়ন কিংবা ভয়ের কোনো কারণ বিএনপির আন্দোলনকে থামাতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত বিজয় হবে জনগণের, বিজয় হবে গণতন্ত্রের।

কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন উল্লেখ করেন, এখন আর সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ‘বেহেশতের টিকিট’ দেখিয়ে কোনো কাজ হবে না। যারা ধর্মীয় আবেগ এবং ভয় দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, তাদের সময় শেষ। জনগণ এখন অধিক সচেতন ও জাগ্রত, তারা বুঝতে পারছে কে সত্যের পাশে এবং কে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায়, বাংলাদেশের জনগণ এক নতুন পরিবর্তনের প্রত্যাশায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী শাসন, জনস্বার্থের অবহেলা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের কারণে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ ও হতাশা গড়ে উঠেছে, তা এখন এক নতুন রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কলিমউদ্দিন আহমদের এই বক্তব্য শুধু একটি রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, এটি দেশের নাগরিক জীবনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী সংকেত।

এ ধরনের আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানুষ যখন তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে এবং নিজেদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসবে, তখন রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।

এই পথসভায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হক নমু, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলতাফুর রহমান খছরু, ছাতক উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক শাহ শফিকুল আলম মতি প্রমুখ। তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও উৎসাহ উদ্দীপনা এই রাজনৈতিক প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করেছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের প্রত্যাশা ও আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। কলিমউদ্দিন আহমদের ভাষণে স্পষ্ট হয়, স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে জনগণ একত্রিত এবং তারা চান একটি মুক্ত, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, এটি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভালো ও সুশাসিত সমাজ গড়ে তোলার পথপ্রদর্শক।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More