বাবা-মায়ের আদর স্নেহ ফিরে পেলো শিশু জান্নাতুল

চুয়াডাঙ্গা উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ : সফলতা

স্টাফ রিপোর্টার: চার বছর বয়সী জান্নাতুল। বাবা-মায়ের ভালোবাসার পরশ বুঝে ওঠার মতো বয়সও হয়নি। অথচ বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের কারণে পিতা থাকতেও প্রায় পিতৃহীন হয়ে পড়েছিলো সে। পরকীয়া সম্পর্কে স্বামী জড়িত থাকার সন্দেহের কারণে পিতার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। তারই ফল ভোগ করছিলো অবুঝ জান্নাতুল। চুয়াডাঙ্গা উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের মধ্যস্ততায় বাবা-মায়ের আদর স্নেহ ফিরে পেলো জান্নাতুল। জোড়া লাগলো সন্দেহের বশে প্রায় ভেঙে যাওয়া একটি সুখের সংসার।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা মুসলিমপাড়ার আকবর আলী শেখের মেয়ে তাসলিমা খাতুনের (২৫) সাথে বছর ছয়েক আগে পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ার আকবরের ছেলে কামরুজ্জামান জনির (৩০) বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে জান্নাতুল নামের ৪ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সম্প্রতি স্বামী কামরুজ্জামান পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত থাকার সন্দেহ দানা বাধে স্ত্রী তাসলিমার মধ্যে। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসে। চলমান বিরোধ এক পর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়। এমন পর্যায়ে তাসলিমা খাতুন তার পিতার বাড়িতে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
এ অবস্থায় চার বছরের কন্যাসন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাসলিমা। অভিযোগটি উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত এএসআই মিতা রানী বিশ্বাসকে দিলে তিনি উভয়পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় তাসলিমা-কামরুজ্জামান দম্পতির মধ্যে চলমান ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়। তারা আগের মতো আবারও সুখের সংসার করতে সম্মত হয়। তাসলিমা-কামরুজ্জামান দম্পতির সুচিন্তিত এ সিদ্ধান্তের ফলে তারা ফিরে পেলো তাদের সুখের সংসার এবং শিশুসন্তান ফিরে পেলো বাবা-মায়ের আদর ¯েœহ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More