ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা পরিহার করুন : ভোক্তা সাধারণও সচেতন হন 

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ কমিটির সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা পরিহারের মানসিকতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ক্রেতা সাধারণের সহজ দৃষ্টিগোচরে হয় এমন স্থানে মূল্য তালিকা রাখার পাশাপাশি পণ্য ক্রয়ের পাকা চালান রসিদও রাখতে হবে। ক্রয়মূল্যের যুক্তিসঙ্গত লাভ রেখে ভোক্তাদের মাঝে তা বিক্রি করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং জোরদার করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক। আলোচনায় উঠে আসে চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করে গরু ও খাসির মাংসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি। গরু সাড়ে ৬শ এবং খাসি সাড়ে ৮শ টাকা মূল্যে বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বাড়লো কেন? নির্ধারিত মূল্যে গোস্ত বিক্রির পাশাপাশি পৌর সেনেটারি ইন্সপেক্টরের লাগানো সিল যাতে জালিয়াতি করা না হয়; সে লক্ষ্যে গোস্ত বিক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বলা হয়, সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার মাংসহীন দিবস হলেও চুয়াডাঙ্গার কিছু গোস্ত বিক্রেতা নিয়ম মানেন না। এ বিধি না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় গতসভার কার্যবিতরণী উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব এনডিসি। জেলা মার্কেটিং অফিসার, ভোক্ত অধিকার কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্মকতা, পৌর সেনেটারি ইন্সপেক্টর, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, চেম্বার প্রতিনিধিসহ উপস্থিত সকলেই অভিমত ব্যক্ত করেন। কিছুদিন আগে যেহারে দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি ছিলো তা থেমে বর্তমানে নিম্নমুখি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অযৌক্তিকভাবে কোন ব্যবসায়ী বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া যেসব বিপনী বিতান মার্কেট সপ্তাহের যেদিন বন্ধ থাকার কথা তা নিয়ম মেনে বন্ধ রাখতে হবে। বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেয়া হবে; তেমনই ভোক্তা সাধারণকেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। মূল্য তালিকা দেখে দ্রব্য সামগ্রী কেনা কাটায় অভ্যস্ত হওয়া দরকার। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে বিশেষ সচেতনমূলক সভার আয়োজন করা হবে।

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ কমিটির সভার আগে একই স্থানে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে টাকার জাল নোট প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় জেলা প্রশাসক সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের যেমন বাড়তি সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে, তেমনই হাট বাজারেও নজরদারি বাড়াতে হবে। যাতে সরলসোজা কোন মানুষের সাথে জাল টাকাকারবারী চক্র প্রতারণা করতে না পারে। এ সভার আগে অনুষ্ঠিত হয় জেলা কৃষিঋণ বিষয়কসভা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More