মহামারির মধ্যে মানুষ মেতেছে ঈদের কেনাকাটায় : চুয়াডাঙ্গাতেও ভিড়

ভুট্টাচাষিদের হাতে কাঁচা টাকা : ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন পোশাক যেনো হয়ে উঠেছে অনিবার্য

স্টাফ রিপোর্টার: মহামারি করোনার মধ্যেও থেমে নেই ঈদের কেনা কাটা। বাস ট্রেন না চললেও অভ্যন্তরীন সড়কে শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানের পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত অটোর রমরমা। এস যানে চেপেই গ্রাম থেকে শহরে ছুটছেন নারী পুরুষ ক্রেতা সাধারণ।
গতকাল শুক্রবারেও চুয়াডাঙ্গার বিপনী বিতানগুলোতে ঈদের কেনা কাটার ভিড় লক্ষ্যকরা গেছে। বিশেষ করে শাড়ি কাপড় জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে নারী ক্রেতার ভিড়ে কমতি ছিলো না। যদিও বাজারের নারী ক্রেতাদের মধ্যে যে ক’জনের সাথে কথা হয়েছে প্রতিবেদকের তাদের প্রায় সকলেই বলেছেন, ঈদে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক না দিলে কি চলে? ওদের জন্যই শহরে এসেছি পোশাক কিনতে। করোনার মধ্যে ভিড়ে কেনা কাটায় স্বস্তি পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, করোনা নিয়ে ভাবছি না, গরমের কারণে বাঁচা যাচ্ছে না। দাম? এবার সব কিছুরই যেনো মূল্যবৃদ্ধি। শিশুদের পোশাকের দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। গতবছর ঈদবাজারও ছিলো করোনা লকডাউন। এবারও। ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক ছাড়া ঈদ করবো কীভাবে? এটা ভেবেই গ্রাম বাংলাথেকে নারী ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে জেলা শহর থেকে উপজেলা শহরে। ভুট্টাচাষি পরিবারের হাতে এবারও বেশ ভালোই টাকা এসেছে। বেগুনের দামও পেয়েছে বেশ। এ টাকা দিয়ে ছেলে মেয়েদের পোশাক না কিনলেই যেনো নয়। করোনা ভাইরাসে মানুষ মারা যাচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেশামাল অবস্থা। চিতায় মরদেহ দাহ করে শেষ করতে পারছে না। কবরস্থানেও দাফনের স্থানসংকুলান নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। অক্সিসিজেনের অভাবে দমবন্ধ হয়ে রাস্তায় গাড়িতে মারা যাচ্ছে মানুষ। অতোটা ভয়াবহ আমাদের দেশে না হলেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। গণহারে সংক্রমিত হলে সামাল দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই। এসব কি জানেন? কয়েকজন পুরুষ ও নারী ক্রেতার সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তাদের নূন্যতম আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। বিক্রেতাদেরও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। কোন ভাইরাসের কারণে সব কিছু তো আর থেমে থাকতে পারে না। এরকমই মন্তব্য অনেকের। অপরদিকে রোববার সারা দেশে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এদিন বিক্ষোভ করে বাস চলাচলের সুযোগ দেয়ার দাবি জানাবে। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গার বিপনী বিতানগুলোতে শাড়ি কাপড় পোশাক আশাকের দাম কেমন তা জানতে গত দুদিন ঘুরে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এবারও থ্রিপিচের দাম গত বারের মতো ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা, প্রিণ্ট শাড়ি ৪শ থেকে ৫ হাজার, মনিপুরি শাড়ি ১৫শ থেকে৩ হাজার, জামদানি সুতি ৭শ থেকে ৪/৫ হাজার টাকা, সিল্ক জামদানি ৭শ থেকে ৬ হাজার টাকা, ছোটযদের গাউন ফ্রক ৮শ থেকে ৩ হাজার টাকা, বড়দের গাউন ফ্লক ২২ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। পাঞ্জাবি? এর যেমন রকমের ফের নেই, তেমনই দামেরও ঠিক নেই। ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকার পাঞ্জাবি রয়েছে চুয়াডাঙ্গার বিপনী বিতানগুলোতে। আর জিন্স প্যাণ্টের দাম, ব্রান্ড মানেই দেড় হাজারের উপরে। নন ব্রান্ড ৫শ থেকে ১২ শ’ টাকা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More