মাসুমার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী কালাম গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার: মাদরাসা ছাত্রী মাসুমার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী দীর্ঘদিনের উত্ত্যাক্তা আবুল কালাম আজাদ ওরঠে কালামকে (২৪) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পুলতাডাঙ্গার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মহসীন।
অসুস্থ পিতাকে সহযোগিতা করতে পড়াশোনার পাশাপাশি দোকান দেখাশোনা করত মাসুমা। দোকানে আসা ছেলেদের সাথে কথা বলা পছন্দ করত না প্রেমিক আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম (২৪)। ছেলের সাথে কথা বলাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ মার্চ মাসুমাকে দোকানে সবার সামনে চড়-থাপ্পড় মারে কালাম। এতে রাগে-ক্ষোভে-অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী মাসুমা আক্তার (১৭)। চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর এই আত্মহত্যার প্ররোচণার প্রধান অভিযুক্ত কালামকে গ্রেফতারের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। আজ ভোর ৪ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার মুন্সীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চুয়াডাঙ্গার আরামপাড়ার মোবা শেখের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম ওরফে দা কালাম । তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্র ও দ্রুত বিচার আইন, মারামারিসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,মাসুমা ও কালামের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কালাম বখাটে ও মাদকাসক্ত। মাসুমা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার আলিম ১ম বর্ষ (একাদশ) শ্রেণির শিক্ষার্থী। পাশাপাশি বাবার মুদির দোকানেও বসত। এই দোকানে বসা কালাম মেনে নিতে পারেনি। সেখানে আসা ছেলে ক্রেতাদের সাথে কথা বলাও পছন্দ করত না কালাম। এ কারণে বেশ কয়েকবার শাঁসায় মাসুমাকে। এই ছেলের সাথে কথা বলাকে কেন্দ্র করেই গত ১৮ মার্চ দোকানে সবার সামনে মাসুমাকে চড়-থাপ্পড় মারে কালাম। এতে রাগে-ক্ষোভে-অপমানে ২০ মার্চ হকপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাসুমা। আত্মহত্যার পরপরই পালিয়ে যায় কালাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মাসুদ রানা ও এএসআই ইলিয়াস হোসাইন, স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের সহায়তায় আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার নতিডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন আরও বলেন, ‘ অর্ধ ডজন মামলার আসামি বখাটে কালাম চুয়াডাঙ্গা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কথা বললে সে যখন তখন কোপাত। ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে কুপিয়ে জখম করে কালাম। দা নিয়ে কোপানোর জন্য তাকে এলাকায় দা কামাল নামেও ডাকা হয়।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More