মেহেরপুর পুলিশের নারী নায়েক যশোরে প্রেমিকের সঙ্গে জেল হাজতে

যশোরে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পানে ফারজানা আক্তার (২৭) নামের এক নারী কনস্টেবল (নায়েক/৯৯) আত্মহত্যার চেষ্টা করে মামলায় ফেঁসে গেছেন দুজনই। রোববার ফারজানা আক্তার ও তার প্রেমকি আসিফ জামানকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার কোতয়ালী থানার এসআই মোকলেছুজ্জামান বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন তাদেরকে গ্রেফতার করে রোববার (১৯ জুলাই) যশোর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেনের আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাদের জেল হাজতে বন্দি আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের খবির মণ্ডলের স্ত্রী বর্তমানে মেহেরপুর পুলিশ লাইনসের নারী নায়েক/৯৯ ফারজানা আক্তার (২৭) ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার রতনপুর গ্রামের জহির রায়হানের ছেলে বর্তমানে যশোর পুলিশ লাইনসের নায়েক/২১১২ আসিফ জামান (২৪)।
যশোর কোতয়ালী থানার এসআই মোকলেছুজ্জামান জানান, গত ১৫ জুলাই রাতে ডিউটি করার সময় যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে অবস্থানকালে জানতে পান নারী কনস্টেবল ফারজানা আক্তার কীটনাশক পান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ফারজানা আক্তারের স্বামী, মা ও মামা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তাকে দেখা শোনা করছেন। হাসপাতালে সরেজমিন জানতে গেলে তারা জানান- সাবেক যশোর জেলা ও বর্তমানে মেহেরপুর জেলার পুলিশ লাইনসে কর্মরত নারী নায়েক ফারজানা আক্তারের সাথে যশোর জেলায় কর্মরত নায়েক আসিফ জামানের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আসামিরা পালবাড়ি মোড়ে দেখা করে। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফারজানা যশোর শহরের দড়াটানায় এসে ইদুর মারা কীটনাশক ক্রয় করে।
এসআই জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় ভৈরব নদীর পাড়ে রাগে ক্ষোভে অভিমানে আত্মহত্যার উদ্দেশে ফারজানা কীটনাশক পান করে আসিফ জামানকে মোবাইলে জানায়। আসামি আসিফ জামান দড়াটানায় এসে ফারজানাকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তি রেজিস্ট্রারে আসিফ জামান নিজেকে ফারজানার স্বামী পরিচয় দেয় ও রোগীকে ভুল তথ্য দিয়ে ভর্তি করে। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার-২৫১১৩/৮০। শনিবার সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নেয় ফারজানা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শনিবার বিকালে হাসপাতাল থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার আসামিদেরকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More