যেখানে সংক্রমণ বাড়বে সেখানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে

মেহেরপুরে ভার্চুয়াল মতবিনিময়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

মেহেরপুর অফিস: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, যে এলাকায় করেনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাবে; সেই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। যে এলাকায় করোনা প্রাদুর্ভাব স্বাভাবিক থাকবে; সে এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক গতিতে চলবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি গতকাল শনিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানন্নোয়ন ও সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভবেশ রঞ্জন রায়’র সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ খুলনার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মাহবুব এলাহী, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলার সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফিল উদ্দিন, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজামান, প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক কমোর উদ্দিন প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে করোনা মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলাতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
জেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর জন্য ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রধান ফটকে টাঙিয়ে রেখেছে। মেহেরপুর জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ মাদরাসাসহ প্রায় সাড়ে চারশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় আবারো মুখরিত হবে মেহেরপুরের শিক্ষাঙ্গন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে মেহেরপুর জেলায় ৩০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪টি মাদরাসা ও ১২টি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বিদ্যালয়ের আঙিনাগুলোতে ঝড়ঝাপটাসহ বিদ্যালয়ের ভেতরেও নোংরা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ পাঠদানের পরিবেশ গড়ে তোলে। এখন কেবল অপেক্ষার পালা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More