স্টাফ রিপোর্টার:সার নীতিমালা–২০২৫ গেজেট আকারে পাস হওয়ার পর থেকে এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কৃষকবান্ধব এই নীতিমালায় এক পরিবারের একাধিক লাইসেন্সধারীর লাইসেন্স বাতিল, সার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং অধিক দামে সার বিক্রিকারীদের লাইসেন্স বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালার এসব কঠোর অবস্থানের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে সার সিন্ডিকেটকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিসিআইসির কিছু সার ডিলার ও অধিক দামে সার বিক্রি করা খুচরা বিক্রেতারাই মূলত এই রিটের পেছনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
দীর্ঘদিন ধরে সার অনিয়ম ও অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির মাধ্যমে লাভবান হওয়া এই সিন্ডিকেট কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ ভাঙতে রাজি নয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যখন সার খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে, ঠিক সেই সময়েই কৃষকবান্ধব এই নীতিমালার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সিন্ডিকেটকারীরা।
আরও অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে এসব সিন্ডিকেট সদস্য নিয়মিতভাবে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আসছে। সেই অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন মহলে তদবির ও আদালত ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
- কৃষক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, নতুন সার নীতিমালা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন না হলে দীর্ঘ সময় ধরে কৃষকরা আরও বড় ভোগান্তির শিকার হবেন। তারা নীতিমালার পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকারের কঠোর অবস্থান বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.