স্বাধীনতা বিরোধীরা নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে: দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, গণতন্ত্রের স্বপক্ষে কাজ করতে পারেনি, তারাই এখন নতুন রুপে, নতুনভাবে এই নির্বাচনকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি, ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার এবং সাম্প্রতিক সকল পাশবিক হত্যাকা-ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব কটুক্তি, ষড়যন্ত্র এবং অমর্যাদাকর বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, এটি বড় বিষয় নয়। বিষয়টি হচ্ছে Ñবাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে তার জায়গা হয়ে গেছে। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার পরে এদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা জানি মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে যে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, সেটা নির্মম, নির্দয় এবং ভয়ংকর। এটি পরিকল্পিত। যারা ভিডিও করেছে তাদের হাত একবারের জন্যও কাঁপেনি। তারা পর্যন্ত বাঁধা দেয়নি। যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা অবাক দৃষ্টিতে এই ভিডিওকারীদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এছাড়াও এই ভিডিও দুদিন পরে প্রকাশ করা হয়েছে। তার আগে আমরা জানি খুলনাতে একটা হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তার রগ পর্যন্ত কেটে দেয়া হয়েছে। রগ কাটা বাহিনী কারা এটা যদি নাও বলা হয়, দেশের মানুষ তাদেরকে চিনে এবং জানে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এরা কত মানুষকে হত্যা করেছে, সেটাও সবাই জানে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এখন বিএনপি। আমাদের দলের নেতা তারেক রহমান যখন নির্বাচনের কথা বলছেন, গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে বিশেষ মহল, যারা নির্বাচনে গেলে কোনো ভবিষ্যত নেই, তারা নির্বাচন ছাড়াই মন্ত্রণালয় দখল করে রাখতে চায়, সেজন্য তারা নতুন নতুন ঘটনা তৈরী করে নির্বাচনকে ঠেকাতে চাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, গণতন্ত্রের স্বপক্ষে কাজ করতে পারেনি, তারাই এখন নতুন রুপে, নতুনভাবে এই নির্বাচনকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের একমাত্র অর্জন হচ্ছে স্বৈরাচারকে আমরা বিদায় করেছি। এবার একটি নির্বাচন দিয়ে জনগণ যাদেরকে ভোট দিবে, তারা সরকার গঠন করবে এবং দেশ পরিচালনা করবে। সেই রাস্তায় হাটা উচিত। নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকার কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ছে মন্তব্য করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি এ সরকারকে অনুরোধ করবো, আপনাদের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। যত দ্রুত করা সম্ভব নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারির আগে ডিসেম্বরও করা যায়, সেদিকেও নজর দেন। নির্বাচিত সরকার ছাড়া ষড়যন্ত্র, কার্যকর পদক্ষেপ এবং শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা খুব কঠিন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাব সাবেক সভাপতি ডা একেএম আজিজুল হক ও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More