সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো চুয়াডাঙ্গা সুবদিয়ার …

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: শাক বিক্রি করে বাড়ি ফেরা হলো না মোশারফ হোসেনের। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় কেড়ে নিলো তার প্রাণ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ডিঙ্গেদহ বেগনগর ফিসারির সামনে এ দুর্ঘটনাটি। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া কাছারি পাড়ার মো. ওসমান ম-লের ছেলে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের সরকারি কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
মোশারফ হোসেনের নিকটজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, মোশারফ তার নিজের জমির লাল শাক ও পালং শাক তুলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পাখিভ্যানে শাক ভর্তি করে পাশে বসে বিক্রির জন্য চুয়াডাঙ্গায় যাচ্ছিলেন। সকাল ৬টার দিকে ডিঙ্গেদহ বেগনগর ফিসারির সামনে আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বেগনগরের শরিফ চিনে ফেলে আলমসাধুতে তুলে সুবদিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে। সাথে সাথে মোশারফের আত্মীয় স্বজনেরা চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। তবে তার মৃত্যুর কারণ কেউ সঠিকভাবে বলতে পারিনি। কেউ বলছে পাখিভ্যানে আসার সময় ঝিনাইদহ থেকে আসা একটি পিকাপভ্যান মোশারফকে ধাক্কা মারলে সে পাকা রাস্তার ওপর আছড়ে পড়ে মাথায় মারাত্মক আঘাত পার এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আবার কেউ বলছে পাখিভ্যানে করে চুয়াডাঙ্গায় যাবার পথে পাখি ভ্যানের চাকার অ্যাকসেলের সাথে লুঙ্গি জড়িয়ে পাকা রাস্তায় পড়ে তিনি আঘাত পান। পাখিভ্যান চালকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মোশারফ পড়ে আহত হলে তার শাকের আটি মাটিতে রেখে পাখিভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে কার পাখিভ্যানে করে যাচ্ছিল তার পরিচয় জানা যায়নি। পাখিভ্যান চালকের পরিচয় মিললে মোশারফের মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। মামলা ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই মোশারফের লাশ সুবদিয়া পাঁচমাইল সরকারি কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। মোশারফ ২ কন্যা সন্তানের জনক এবং দুজনই বিবাহিত।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More