হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা : শীতবস্ত্রের দোকানে বেড়েছে ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। ফলে আগের দিনের তুলনায় গতকাল শীত অনুভূত হয়েছে একটু বেশি। শীতের তীব্রতা বাড়ছে যেমন, তেমনই শীতবস্ত্রের দোকানেও বাড়ছে ভীড়।
শীতের সময় প্রতিবারই রাস্তার পাশে শীতবস্ত্র বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসে। এবারও বসেছে। নতুন পুরাতন সব রকম শীতবস্ত্রেরই অল্প আধটু দাম বেড়েছে। করোনা সংকটে কাজ হারানো অনেকেই অনিশ্চয়তার প্রহর গুণছেন। এরপরও শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতার সংখ্যা কম নেই। গতকাল দেশের কোথাও বৃষ্টি না হলেও দিনের অধিকাংশ সময়ের আকাশ ছিলো ধোয়াটে মেঘের দখলে। ফলে সূর্যের মুখ ছিলো মৃয়মান। সূর্যের উষ্ণতা তেমন না থাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতপরশুর চেয়ে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেয়ে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের প্রভাব বেশে থাকার কারণে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা দু ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গতকাল দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও গতকাল কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা গতকাল তেঁতুলিয়ায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সারা দেশেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আবহওয়া অধিদফতর শীত বাড়ারই পূর্বাভাস দিয়েছে। বলেছে, উপ মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসগরে অবস্তান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিত মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে। ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। ৫ দিনের পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। তীব্র শীতের আগেই সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগতভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া দরকার বলেও অভিমত সচেতন মহলের। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গার শীতবস্ত্রগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশেরই নজর নতুন শীতবস্ত্রের দিকে। পূর্বের মতো পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানে উপচেপড়া ভিড় গত কয়েক বছর ধরে তেমন একটা পরিলক্ষিত হয় না। তবে স্বল্প আয়ের অনেকেই রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকানে সস্তায় কেনার জন্য ভিড় জমান। পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট বিক্রি হয় তুলনায় বেশি। পুরাতন সোয়েটারও কিনতে গুনতে হয় ৮০ টাকা থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত। জ্যাকেট? ৯০ থেকে ৯শ। নতুন পোশাকের দোকানে রাখা উন্নতমানের শীতবস্ত্র? স্বল্প আয়ের মানুষের তা কেনা কল্পনারও বাইরে যেতে বসেছে। তবে বড়দের চেয়ে শিশু কিশোরদের জন্য চড়াদামের শীতবস্ত্র কেনার আগ্রহ বেড়েছে অধিকাংশ অভিভাবকের মধ্যে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More