৬৮ হাজার ৮৭৬ ভোটারের চুয়াডাঙ্গা পৌরপরিষদ নির্বাচন আসন্ন : বাতাসে ভোটের আমেজ

ভোটার সাধারণের সমর্থন আদায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ নির্বাচন আসন্ন। আসন্ন শীতও। প্রায় ৬৯ হাজার ভোটারের পৌরসভার ভোটারদের মধ্যে যেমন শীতের আমেজ, তেমনই প্রার্থীদের আগাম প্রচার প্রচারণায় উঠেছে ভোটের হাওয়া। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে কবে কখন তফশিল ঘোশণা করা হবে, কবে হবে ভোট তা প্রাপ্ত তথ্য মতে, এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তার আগে প্রায় ডজন খানেক সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী, অসংখ্য কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ কৌশলী প্রচার প্রচারণা। অনেকের দোয়া চাওয়া পোস্টারও মারা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনও এবার দলীয় প্রতীকে হতে যাচ্ছে। ব্যালটের বদলে ইভিএম তথা বৈদ্যুতিন যন্ত্রে পৌরভোট হতে পারে। চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পথে। নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মেয়র, সাবেক মেয়র, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই যেমন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, তেমনই দলীয় পরিচয় ব্যবহার করলেও কেউ কেউ সেদিকে না তাকিয়ে পিতার পরিচয়ের পাশাপাশি নিজের কর্মকা- তুলে ধরে আগাম প্রচারণায় এগিয়ে থাকার কাজটা সেরে রাখছেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হওয়ার আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। জেলা বিএনপির একজন যুগ্মআহ্বায়কসহ সাবেক ছাত্রদলের ও বর্তমানের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাও জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ক’জন থাকবেন, কার সাথে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রচারণায় নামেননি এমন কয়েকজনকে নিয়েও কিছু মহলে আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবেন কিনা না থাকলে ভোটের লড়াই কতোটা জমবে তা নিয়েও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আলোচনার অন্ত নেই। বিশেষ করে নিকট অতীতে চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ভোটার সাধারণদের অনেকের মধ্যেই যেমন ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহ বেড়েছে, তেমনই সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ভোটার সাধারণের সমর্থন নিয়েই নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় গতকাল পর্যন্ত মোট ভোটার ছিলো ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৪৫৬ জন, নারী ৩৫ হাজার ৪২০ জন। পৌরসভায় পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটার প্রায় ২ হাজার বেশি। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কেদারগঞ্জ, মালোপাড়া, বুজরুকগড়গড়ি, সিঅ্যান্ডবিপাড়া, ভিমরুল্লাহ ও হাটকালুগঞ্জ নিয়ে ১নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা মোট ৮ হাজার ১শ ৯৩ জন। এর মধ্যে নারী ৪ হাজার ১শ ১৮জন, পুরুষ ৪ হাজার ৭৫ জন। বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়া, শান্তিপাড়া, পলাশপাড়া, বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়া, সুমিরদিয়া ও সুমিরদয়া কলোনি নিয়ে গঠিত ২নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৮ হাজার ৫৩ জন। পুরুষ ৩ হাজার ৯শ ২৯ জন, নারী ৪ হাজার ১শ ২৪ জন। কোর্টপাড়া, পুরাতন হাসপাতালপাড়া, পোস্ট অফিসপাড়া, মুক্তিপাড়া ও সাদেক আলী মল্লিকপাড়া নিয়ে গঠিত ৩নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ১শ ৯৩ জন। ৩ হাজার ১৫ জন পুরুষ, ৩ হাজার ১শ ৭৮ জন নারী। বাজারপাড়া, জোয়ার্দ্দারপাড়া, মল্লিকপাড়া ও শেখপাড়া নিয়ে গঠিত ৪নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৬ হাজার ৫শ ২ জন। নারী ৩ হাজার ৪শ ৪৪ জন, পুরুষ ৩ হাজার ৫৮ জন। ইসলামপাড়া, তালতলা পশুহাটপাড়া, বাগানপাড়া ও রেলপাড়া নিয়ে গঠিত ৫নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৬শ ১৯ জন। পুুরুষ ৩ হাজার ৬শ ১৬ জন, নারী ভোটার ৪ হাজার ৩ জন। তালতলা ও হাজরাহাটি নিয়ে গঠিত ৬নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৮ হাজার ৭শ ২৫ জন। পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৩শ ৯৬ জন, নারী ভোটার ৪ হাজার ৩শ ২৯ জন। কুলচারা, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়া, দিগড়ী, নূরনগর ও সাতগাড়ি নিয়ে গঠিত ৭নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৮ হাজার ৬০৩ জন। পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ২৩৩ জন, নারী ভোটার ৪ হাজার ৩৭০ জন। নূরনগর কলোনি, ফার্মপাড়া, বুজরুকগড়গড়ি মুসিলিমপাড়া ও বেলগাছি নিয়ে গঠিত ৮নং ওয়ার্ডের মোট ভোটার ৭ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৭৭৭ জন, নারী ভোটার ৪ হাজার ৫৬ জন। আরামপাড়া, কলেজপাড়া, গোরস্তানপাড়া, থানা কাউন্সিলপাড়া, গুলশানপাড়া ও সিনেমাহলপাড়া নিয়ে গঠিত ৯নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৭ হাজার ১৫৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩ হাজার ৭৯৮ জন ও পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৩৫৭ জন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More