ঝিনাইদহে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু :  নতুন আক্রান্ত ৪১

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মধ্যে এুকজনের বাড় কালীগঞ্জ উপজেলায়, অপরজনের বাড়ি হরিণাকুণ্ড উপজেলায়।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত সলেমান মোল্লার ছেলে বাবলুল করিম (৫২)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান তিনি। এর আগে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। আজ সকালে তার নমুনায় পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর বেলা ২টার দিকে স্থানীয় কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য পান্টু বিশ্বাস বেলা ১২টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে ২৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
রাত ৯টার দিকে ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান জানান, এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৩ জন করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হল। গত বুধবার রাতে মোর্শেদ বিন মাসুদ ওরফে শাহীন (৩৬) নামে এক যুবক মারা যান। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মোর্শেদ বিন মাসুদ ওরফে শাহীন জেলা শহরের ব্যাপারীপাড়ার মৃত মাসুদুর রহমানের ছেলে। তিনি মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, ২৫ জুলাই করোনা ধরা পড়ে মোর্শেদ বিন মাসুদ ওরফে শাহীনের। ওই দিনই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়া হয়। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান জানান, এ নিয়ে আজ পর্যন্ত ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন সম্পন্ন করা হল। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানবিদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঝিনাইদহে নতুন করে ৪১ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৩০ জন, শৈলকুপায় ৩ জন, হরিণাকুণ্ডুতে ৪ জন এবং কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন ও কোটচাদঁপুরে রয়েছেন ১ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৫৬২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৮৭ জন। অস্থায়ী কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৪ জন এবং সদর হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মৃত্যুর তালিকায় রয়েছেন ২৩ জন। জেলার বাইরের হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের নাম স্থানীয়ভাবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না। এতে স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকা দেখে মৃত্যুর প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More