স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ : চুয়াডাঙ্গা কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার : স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় উঠতি কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখমের পর ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে উঠতি কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য। কালবিলম্ব না করেই কিশোর গ্যাঙের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গুরুতর জখম স্কুলছাত্রের বড় ভাই অপু মিয়া। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর দশমী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র।

উদ্ধার করা ধারালো অস্ত্র

পুলিশ জানায়, গেল রোববার রাতে সদর হাসপাতাল এলাকার ইসলামী হাসপাতালের সামনে মোবাইল নিয়ে বিরোধের জেরে ইমন আলী নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য। পরে ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গ্রেফতার হওয়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ঘটনার পর আজ সকাল ১০টার দিকে বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গুরুতর জখম স্কুল ছাত্র ইমন আলীর বড় ভাই অপু মিয়া। পরে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার কুতুবপুর দশমী গ্রাম থেকে ওই ৯ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ওসমান গনি (১৯), একই এলাকার বিটুল পারভেজের ছেলে মোহাম্মদ রাতুল (১৭), মোহাম্মদ লিপুর ছেলে শিশির আলী (১৬), বাগানপাড়ার রাশিদুল ইসলামের ছেলে সন্ধি ইসলাম (১৬), সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে খালিদ হোসেন (১৫), পোস্ট অফিসপাড়ার জিয়ারুল হকের ছেলে সোহান আলী (১৬), সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের সোহেল রানার ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার (১৬), দৌলাতদিয়াড় গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে প্রিন্স রহমান (১৬) ও একই এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী (১৬)।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, গ্রেফতারকৃতরা উঠতি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের কাছ থেকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ইমনের বন্ধুরা সদর হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত ইমনের বাবার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওইদিন উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়। পরে গত রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার ইসলামী হাসপাতালের সামনে মোবাইল নিয়ে বিরোধের জেরে ইমন আলী (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত ইমন আলী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ও ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
1 টি মন্তব্য
  1. মো: খলিলুর রহমান বলেছেন

    আসামীদের মুখের ছবি ঝাপসা করা ঠিক হইনি। যে অন্যায় করেছে তাকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরাই সাংবাদিকতা নৈতিক কাজ।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More