শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন

ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে, ভোট কেন্দ্রে ভোটারের ভিড় বাড়ে। চুয়াডাঙ্গার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদসহ মেহেরপুর এবং আলমডাঙ্গার একটি করে সদস্য পদে উপনির্বাচনে যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে তা নিকট অতিতের প্রেক্ষিতে অনেকের কাছেই ছিলো অভাবনীয়। অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন মানেই প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের কর্তব্যপরায়নতার স্পষ্ট উদাহরণ। কর্তব্যপরায়নতার মধ্যে শুধু পেশাদারিত্ব থাকলেই হয় না, দক্ষতা তথা বিচক্ষণতাও থাকতে হয়।
নেতা অনেক মানুষের সমষ্টি, যে নেতা যতো জনের আস্থা অর্জন করতে পারেন নির্বাচনে তিনি ততোটাই এগিয়ে থাকেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে যে সর্বাধিক ভোটপান তিনিই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ভোটের ব্যবধান একটি হলেও দায়িত্বভাগাভাগীর সুযোগ থাকে না। তবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাদের সকলে নির্বাচিতের কাছে দূরে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ালে সমাজের মানুষ উপকৃত হয়। যদিও আমাদের সমাজে ওরকম পরিবেশ এখনও গড়ে ওঠেনি। চুয়াডাঙ্গার যে ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নির্বাচিতদের অভিবাদন। পরাজিতদের প্রতি এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান। মনে রাখা দরকার, পরিছন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিহিসংসায় রূপ নেয়া মানেই ধংস ডেকে আনা।
ভোটার সাধারণের ভোট দেয়ার অধিকার সাংবিধানিক। এ অধিকার শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগের পরিবেশ গড়ে দেয়ার দায়িত্ব অবশ্যই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের। কোনো কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ হারালে ভোটার সাধারণ শুধু অস্থাই হারান না, সমাজ তথা দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের আরও বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিছু হয়েছে কিছু বাকি রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মধ্যে যে আস্থার বাতাবরণ হয়েছে তা দৃষ্টান্ত বটে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More