সুস্থ থাকুন, সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করুন

বিপণী বিতান সীমিত আকারে খোলার অনুমোদন মানে করোনা সংক্রামক ঝুঁকি হ্রাস নয়। ছোঁয়াছে ওই রোগের ঝুঁকি পদে পদে। সামান্য অসতর্কতা বয়ে আনতে পারে করুণ পরিণতি। ১০ মে থেকে বিপণী বিতান খোলা হলেও দোকানিদের যেমন গা ঘেষাঘেষির পরিবেশ পরিহার করতে হবে, তেমনই ক্রেতাদেরও সামাজিক বা অন্যের থেকে নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে।
আসন্ন ঈদ উল ফিতরসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী বিপণী বিতান শর্তসাপেক্ষে খোলার অনুমোদন দিয়েছেন। এটাকে সুযোগ ভেবে ভীড় জমিয়ে ব্যবসায় মত্ত হলে সর্বনাশ অনিবার্য। কেননা, নভেল করোনা ভাইরাস এমনই এক সংক্রামক যে বুঝতে না বুঝতেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনা ভাইরাস তথা কোভিড-১৯ কে মহামারী ঘোষণা করার সাথে সাথে যেসব দেশ বা সমাজ যেমন সতর্ক হয়েছে; পরবর্তিতে তেমনই ফল ভোগ করেছে। সতর্কতায় যেখানে যতোটা বিলম্ব হয়েছে; সেখানেই লাশের স্তুপ বেড়েছে। লাশ আর লাশ। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকদের অনেকেই লাশ হচ্ছেন। এতেই বুঝতে বাকি থাকে না, এটা কতোটা ভয়াবহ। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭০ জনের। আমাদের দেশের চিত্রও সুখকর নয়। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহেও ছড়িয়েছে ছোঁয়াছে এই রোগ। ঘনবসতির এই সমাজে সকলে নিজ নিজ অবস্থানে সতর্ক না হলে শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজটাই বিলীন হতে পারে। এখনও পর্যন্ত যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, যা হয়েছে তাও রয়েছে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়ে। এ কারণেই প্রতিষেধক পাওয়া পর্যন্ত সুস্থ থাকতে হলে সতর্কতার বিকল্প নেই। ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ মাস্ক পরা অতীব জরুরি।
যে ভাইরাস ভয়াবহ প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে এই ভাইরাস মানুষের কাছে অবশ্যই পরাস্থ হবে। তার আগে ভালো থাকতে এবং ভালো রাখতে সকলকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। হতদরিদ্র্যদের পাশেও সহযোগিতার হাত নিয়ে দাঁড়াতে হবে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সকলেই দায়িত্বশীল হলে সবার সামনেই সুন্দর সকাল আসতে বাধ্য। আমরা ওই সকালের অপেক্ষায়। সকলের সুস্বাস্থ্য কাম্য।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More