চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা ও প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসের ওপর দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালিয়েছে। সেই সাথে তার অফিস কক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটায় উপস্থিত জনতা হতভম্ব হয়ে পড়ে। একদিকে নির্বাচন, অন্যদিকে প্রার্থীর ওপর হামলা, এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে খাড়াগোদা বাজারের নিজ কার্যালয়ে কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজন নিয়ে বসেছিলেন। এসময় খাড়াগোদা গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে আরিফুজ্জামান পিলু, আব্দুল আলিমের ছেলে স¤্রাট ও আনিছদ্দিনের ছেলে মানোয়ার হোসেন ধারালো অস্ত্র চাপাতি নিয়ে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালায়। চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গলায় চাপাতি ধরে এবং প্রতিষ্ঠানের নিজিসপত্র ভাঙচুর করে দুস্কৃতকারীরা। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের টুআইসি ফারুক হোসেন ও কনেস্টেবল কদর আলী উপস্থিত ছিলেন। আকতার হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে ভোট করতে হলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে এমন খবর আমার কাছে আসে। আমি বিশ্বাস করে দর্শনা থানার ডিএসবির কনেস্টেবল মিথুনকে জানায়। যেখানে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য তিনি আমার নাম উল্লেখ করে বিষয়টি রঙ্গচঙ্গ লাগিয়ে আজ যারা হামলা চালিয়েছে তাদেরকে জানায়। কারণ কনেস্টেবল মিথুন দিন কিংবা রাতে প্রায়সময় খাড়াগোদা বাজারে এসে তাদের সাথে আড্ডামারে যা বাজারের লোকজন সবাই জানেন।

এদিকে, ২০ অক্টোবর নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর পরিকল্পিত হামলা এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সামান্য কাঁচ ভেঙেছে। আর পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টুআইসি ওই রাস্তা দিয়ে কালুপোল বাজারে যাচ্ছিলো মানুষ দেখে দাঁড়ায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দর্শনা থানার তদন্ত ওসি শেখ মাহাবুর রহমান। বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফুজ্জামান পিলুর সাথে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে দর্শনা থানায় কর্মরত জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য মিথুন বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করা হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। হয়তো তিনি তার ধারণা থেকে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তাছাড়া আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় পেশাগত কাজে অবস্থান করতেই পারি।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কোনোপক্ষই কোনো প্রকার মামলা বা অভিযোগ করেনি। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলার সময় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের টুআইসি ফারুক হোসেন ও কনেস্টেবল কদর আলী উপস্থিত থাকার বিষয়ে ওসি বলেন, ঘটনার সময় কোনো পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলো না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে কোনো ঘটনা ঘটবে, কিন্তু তারা বাধা দেবে না, এটা অসম্ভব।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More