স্টাফ রিপোর্টার: ১০ মে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বব্যাপি পরিযায়ী পাখি দিবস পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় দিবসটি পালন করে মানবতার জন্য সংগঠন, বসুন্ধরা শুভ সংঘ, প্রকৃতি প্রেমী সংগঠন এবং বন বিভাগ যৌথভাবে। প্রথমে একটি র্যালি জীবননগর বন বিভাগের কার্যালয় হতে চৌরাস্তা মোড় ঘুরে জীবননগর মুক্তমঞ্চে শেষ হয়। মুক্তমঞ্চে বক্তারা পরিযায়ী পাখির আবাস্থল সংরক্ষণ ও এদের দ্বারা উপকারীতা সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশনামূলক কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কথা বলেন মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আহসান হাবীব, বসুন্ধরা শুভ সংঘের উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম, প্রকৃতি প্রেমী সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হোসেন এবং জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম (কাজল)। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন মানবতার জন্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরকার। মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এই বার আমরা সকলে মিলে জীবননগর এই দিবসটি পালন করেছি। পৃথিবীতে প্রায় ১২০০ প্রজাতির পাখি আছে। তার মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ পাখি পরিযায়ী। বাংলাদেশের ৭২৮ প্রজাতির পাখির মধ্যে ৩০০ প্রজাতির পাখি পরিযায়ী। পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিন দিন এই পরিযায়ী পাখির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর আবার কিছু অসাধু পাখি শিকারির কারণে পরিযায়ী পাখিগুলো মারা পড়ছে। পরিযায়ী পাখি শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয় আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। তাই দিবসটি উপলক্ষে আমরা সকলের মাঝে পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণের বার্তা বয়ে নিয়ে যায়। আলোচনা শেষে চৌরাস্তা মোড়ে সাধারন মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবতার জন্য সংগঠনের আব্দুল মান্নান, লাবু রহমান, আলামিন, জিসান শেখ, বসুন্ধরা শুভ সংঘের সভাপতি মো শামছুল আলম ও উপজেলা বন বিভাগের কর্মচারীরা এবং সুধীজনেরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.