স্টাফ রিপোর্টার:জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রদল। এদিন একই স্থানে সমাবেশ করতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। এদিকে অনুমতির জন্য আগে আবেদন করায় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে শহীদ মিনারে প্রোগ্রামের অনুমতি পেয়েছে। তবে এনসিপি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টির সুরাহা করার জন্য পারস্পরিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দল দুটি। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদল এবং এনসিপির সমাবেশ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। গত ৩০ জুন রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে, শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন, ঐতিহাসিক স্মৃতি সংরক্ষণ, সব অংশীজনের অবদানের স্বীকৃতি ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার দীর্ঘ ধারাবাহিক লড়াইয়ের বীরোচিত বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপনের উদ্দেশ্যে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতিও নেয় ছাত্রদল।
অন্যদিকে গত ২৯ জুন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা করেনÑ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করা হবে। তবে ছাত্রদল অনুমতি পেলেও এখনো সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি এনসিপি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত যুগান্তরকে বলেন, জায়গা ম্যানেজ হয়েছে কিনা এখনো আমি জানি না। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে বিএনপির সঙ্গে সম্ভবত কথা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত হলে আমি জানাতে পারব। আমরা মূলত শহীদ মিনারে একটি সমাবেশ করব। সেখানে সারা বাংলাদেশ থেকে লোক আসবে, ৬৪ জেলা থেকে লোক আসবে। জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শেষ হওয়ার কথা শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে আমাদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সমাবেশের বিষয়ে আমাদের একটা মিটিং আছে। তাদের সমাবেশের জন্য জায়গা ছাড়া হবে কিনা সেটা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, আমি নাহিদ এবং হাসনাতকে জানিয়েছি ছাত্রদল আগে আবেদন করায় তাদের অনুমতি দিয়েছি। তখন হাসনাত আমাকে জানিয়েছেন, তিনি ছাত্রদল সভাপতির সাথে কথা বলবেন। এখন তারা যদি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সুরাহা করতে পারে তাহলে ভালো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.