ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জসিট

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার চার্জসিট প্রদান করেছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট আসার পর শৈলকুপা থানার এসআই মো. সাখাওয়াত হোসেন গত ৩০ জুলাই চার্জসিট দাখিল করেন। আসামি দিলারা ইয়াসমিন শৈলকুপার শেখপাড়ার দবির উদ্দীন জোয়ার্দ্দারের মেয়ে। সাংবাদিক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ার কারণে সপ্তাহিক ডাকুয়া পত্রিকার সম্পাদক ও শৈলকুপার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাংবাদিক শামিম বিন সাত্তার ২০১৮ সালে মামলাটি দায়ের করেন।
চার্জসিটে উল্লেখ করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার নিজের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেন। এতে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটে। সাংবাদিকদের সাথে দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার ব্যক্তিগত শত্রুতা চালিয়ে আসছিলো। সেই সূত্র ধরে সমাজে হেয় পত্রিপন্ন করার জন্য ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল, ডিবিসির আব্দুর রহমান মিল্টন, ডাকুয়া পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক শামিম বিন সাত্তার, পাইলট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ সালের ২৫ এর (২)/ ২৯ (১)/ ৩১ (২) ধারার অপরাধ করেছেন মর্মে তদন্তে প্রতিয়মান হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, নিরপেক্ষভাবে সাক্ষী প্রমাণ ও আলামত পর্যালোচনা করে অপরাধ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়। তবে পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে পাঠানো রিপোর্টে ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট তারিখে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কোনো পোস্ট পায়নি। উক্ত আইডিতে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পোস্ট পাওয়া যায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এই মামলায় আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। স্কুল থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More