তত্ত্বাবধায়ক’ ও নারী আসন নিয়ে যা বলল বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চায় বিএনপি। সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ হতে হবে নির্বাহী আইনে। সংসদে নারী সংরক্ষিত আসনের পক্ষে বিএনপি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্যে কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২১তম দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা জুলাই জাতীয় সনদ নামে একটা খসড়া পেয়েছি। সেই খসড়ার সঙ্গে আমরা মোটামুটি একমত। কিন্তু ওখানে কিছু বাক্য, শব্দ গঠন, প্রণালী ইত্যাদি নিয়ে কারো কোনো মতামত আছে কিনা সেজন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দিয়েছে। আমরা আমাদের যে সংশোধনী থাকবে তা ভাষাগত, বাক্যগত। অঙ্গীকারের বিষয়ে আমরা একমত। আমাদের যা যা সংশোধনী বা আপত্তি থাকবে এটা আমরা কালকে (বুধবার) জমা দেব। দুই বছরের মধ্যে এ প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে অঙ্গীকার চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমরা একমত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রী পদে একজনের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ১০ বছর-এই চারটি ছাড়া অন্যকোনো বিষয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না বিএনপি।
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দেওয়া নতুন প্রস্তাবে আগের প্রস্তাবগুলোতে একমত মত না হলে সংসদের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে দলটি।

তা না হলে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে ফিরে যেতে চায় বিএনপি-এমনটা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিবর্তনে গণভোটের ব্যবস্থা করেছি, যাতে কেউ এ ব্যবস্থা খুব সহজে পরিবর্তন করতে না পারে। জুডিশিয়ারি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং ওয়াচ ডগ হিসেবে গণতন্ত্রের রক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি জীবনে ১০ বছরের বেশি এ পদে থাকতে পারবে না। সব কিছু আইনে না রেখে সংবিধানে নিয়ে এলে, সেটা তো সংবিধান আর থাকে না। হয়ে যাবে মহাভারত।

সংবিধান ভারাক্রান্ত হোক, বিএনপি এটা চায় না তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, সবকিছু সংবিধানে নিলে সেটা আর সহজে সংশোধনযোগ্য থাকে না। বরং আইনগত কাঠামোর মধ্যেই এ সংবিধিবদ্ধ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সংসদ ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন ঠিক রেখে, আসন্ন নির্বাচনে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থীকে সরাসরি মনোনয়ন এবং পরের নির্বাচনে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। ভবিষ্যতে সরাসরি নির্বাচনের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া হবে। নারীদের অংশগ্রহণ চাই, তবে সেটি যেন বাস্তব ও টেকসই হয়। সমাজের প্রস্তুতি ছাড়া ঢালাও সরাসরি নির্বাচন কার্যকর হবে না।

সালাহউদ্দিন বলেন, প্রথমে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠিত হোক, কার্যকর হোক, তারপর স্থায়ী কাঠামো আসুক। এক্ষেত্রে ন্যায়পাল নিয়োগ নিশ্চিত করা, একটি পূর্ণাঙ্গ সচিবালয় গঠন, ন্যায়পাল আইনের পুনর্বিন্যাস ও ক্ষমতা নির্ধারণ, যাতে তার সুপারিশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হয়। এত বড় তদন্তমুখী প্রতিষ্ঠান যদি কোনো ফল দিতে না পারে, তাহলে সেটা জনগণের জন্য উপকারে আসে না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More