দামুড়হুদার জয়রামপুর স্টেশনে ট্রেন আটকে আবারও মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যানসহ সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ স্টোপেজ দাবি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: আবারও দামুড়হুদার জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ,ডাউন স্টোপেজ দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস যাবত দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ আপ, ডাউন স্টোপেজে দাবিীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার বিকেলে আবারও তারা সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেন যেনো স্টপেজ দেয় সেজন্য হাজারও মানুষ জয়রামপুর রেল স্টেশনে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে রেলপথ অবরোধ করে ট্রেন থামাতে অবস্থান নেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল ও থানা পুলিশ। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সামাল দিতে কর্মসূচির শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান নেন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জয়রামপুর রেলস্টেশন জেলার একটি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন। রাজশাহী মেডিকেলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যাতায়াতের জন্য এই স্টেশনে যেনো সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ আপ-ডাউন ট্রেন থামানো হয়। এখানে স্টোপেজের দাবীতে আমরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এই লাইনে প্রথম গেদে থেকে কুষ্টিয়া জগতি স্টেশন পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হয়। তখন থেকেই এই জয়রামপুর স্টেশন চালু ছিলো। কিন্তু বর্তমানে এই স্টেশনটি প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রমে আছে, বলতে গেলে এখন জয়রামপুর স্টেশন বন্ধ আছে। আমাদের দাবী এই স্টেশন টি অতি তাড়াতাড়ি যাতে চালু হয়।
সাবেক সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিকী বলেন, ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে আগে স্টেশন মাস্টার ছিল, স্টাফদের থাকার জায়গা ছিল, গেটম্যান ছিল। এখন এখানে আর কিছুই নাই স্টেশনটি বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা চাই স্টেশনটি আবার নতুন করে চালু করা হোক এবং সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ এবং ডাউন স্টোপেজ দাবি করছি। এখানে যেন আগের মত স্টেশন মাস্টার এবং গেটম্যান সহ সকল বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুবিবেচনায় দেখবেন এমনটি আশা করছি।
জয়রামপুর মানবকল্যান যুব সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে গেট ম্যান না থাকার কারণে বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ-অকালে ঝরে গেছে। এই স্টেশনটিতে স্টেশন মাস্টার সহ কোন লোকবল নেই। কিন্তু এক সময় এই ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলো। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেছে। ১৮৬২ সালে গেদে থেকে কুষ্টিয়াজ জগতী রেললাইন চালু হয়। তখন থেকেই জয়রামপুর রেল স্টেশন জমজমাট ছিলো। এই অঞ্চলে প্রায় দুই লাখের অধিক মানুষ এই জয়রামপুর স্টেশন ব্যবহার করতো। এখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর গুড়েরহাট যেখান থেকে সারা বাংলাদেশে ট্রেনযোগে খেজুরের গুড় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হতো। স্থানীয় অর্থকরী কৃষি ফসল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রেনের মাধ্যমে যেত, যা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ আছে। এই স্টেশনে স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যানসহ সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ ও ডাউন স্টোপেজ দাবি করছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More