মালয়েশিয়ায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের প্রবাসী হাফিজুল ইসলাম (৪২)-এর মরদেহ ১০ দিন পর অবশেষে আগামীকাল শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়িতে পৌঁছাবে।
গত ৪ জুন ২০২৫, বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় মালয়েশিয়ায় তার কর্মস্থলের বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্রোক করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হাফিজুল মালয়েশিয়ার একটি পাইপলাইন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। কর্মঠ ও সৎ এই মানুষটি জীবনের বড় একটি অংশ প্রবাসে কাটিয়েছেন পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।
হাফিজুলের সহকর্মী ও একই গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমেদ জানান, কিছুদিন আগে ১৫ দিন অবৈধভাবে অবস্থানের পর হাফিজুল নতুন করে বৈধ ভিসা পান। কিন্তু নতুন করে জীবনের স্বপ্ন বুনতে না বুনতেই মৃত্যু তাকে থামিয়ে দেয়। তিনি ‘ফ্রি ভিসা’তে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় সরকারি সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হয়নি, ফলে মরদেহ দেশে পাঠাতে পড়ে যায় আর্থিক সংকটে।
স্বজনদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় হাফিজুলের মরদেহ দেশে ফেরাতে এগিয়ে আসেন তার সহকর্মীরা ও কোম্পানির মালিক। আলমডাঙ্গার হাউসপুর গ্রামের মানবিক ব্যক্তি আনারুল ইসলামের মাধ্যমে প্রবাসীরা সম্মিলিতভাবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হাফিজুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। গ্রামের মানুষজন তাকে স্মরণ করছেন একজন পরিশ্রমী ও নিরহংকার মানুষ হিসেবে। তার মৃত্যু কেবল একটি পরিবারের নয়, গোটা সমাজের হৃদয়ে গভীর আঘাত করেছে।।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.