যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা : অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। নাটকীয়তায় ভরা নির্বাচনে টানটান উত্তেজনায় বিশ্ববাসী। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং তাদের সমর্থকরা টানা দুই রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৪টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে বাইডেনের পালেই জয়ের হাওয়া লেগেছে। হিসাবনিকাশে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে। বাইডেন জয়লাভের দ্বারপ্রান্তে থাকায় বেশকিছু রাজ্যে ভোটের ফল গণনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। কারচুপির অভিযোগ এনে চার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। এদিকে নির্বাচন-উত্তর সহিংসতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান। প্রতিটি ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে নিউইয়র্ক সিটি, শিকাগো ও ফিলাডেলফিয়াসহ ট্রাম্প সমর্থকরা অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিটি ভোট গণনার দাবিতে নিউইয়র্কে হাজারও মানুষের নির্বাচনী শোভাযাত্রা সহিংস রূপ নিয়েছে। এসময় সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। আন্দোলনকারীরা ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত তার ভাগ্যে জুটেছে ২৫৩টি ইলেকটোরাল ভোট। দুটি রাজ্যে জয় পেলেই তার হোয়াইট হাউসের টিকেট নিশ্চিত হবে। অবশ্য এএফপিসহ কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে অ্যারিজোনায় জয় তুলে এরই মধ্যে বাইডেন ২৬৪ ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করেছেন। এক্ষত্রে আর ছয়টি ইলেকটোরাল ভোট অর্থাৎ নেভাদায় জয় পেলেই তিনি কাক্সিক্ষত জয় পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট। ডাকযোগে বিপুলসংখ্যক ভোট পড়ায় কয়েকটি রাজ্যে এখনও ভোট গণনা চলছে। ফলাফলে বাইডেনের পালেই জয়ের হাওয়া লাগছে। হিসাবনিকাশে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভোট চ্যালেঞ্জের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রাথমিক ফলাফলে বাইডেনের অগ্রযাত্রা স্পষ্ট হতেই উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও মিশিগানে ভোট গণনাকে চ্যালেঞ্জ কওে আদালতে মামলা করেছে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। আগেই উইসকনসিন ও মিশিগানে বাইডেন জয় পেয়েছেন। ট্রাম্পের উপদেষ্টা এরিক ট্রাম্প বলেন, পেনসিলভানিয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমেই একমাত্র এ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে ডেমোক্র্যাটরা। সেখানকার নালা-নর্দমায় ব্যালট পেয়েছি আমরা। এমনকি পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেও বাধা দেয়া হয়েছে। দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানও বিস্তর। এ কারণেই ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের আরেক উপদেষ্টা রুডি জুলিয়ানির অভিযোগ, শুধু ফিলাডেলফিয়াই নয় বরং গোটা দেশেই ভোট চুরি করেছে প্রতিপক্ষরা। জর্জিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনেও ভোট চ্যালেঞ্জ করে মামলা দিয়েছি আমরা। পেনসিলভানিয়ার গভর্নর টম উল্ফ বলেছেন, ভোট গণনা বন্ধে ট্রাম্পের মামলা করা গণতন্ত্রের মৌলিক নীতির পরিপন্থী তো বটেই; অন্যায়ও। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে ভয় দেখানো, হামলা বা হুমকি দেয়া গণতন্ত্রের অবমাননা। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো। এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন জো বাইডেন। বলেছেন, মার্কিনীদের ভালোবাসাই তার সবচেয়ে বড় পাওয়া। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভের জন্য যে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়, সেটা এরই মধ্যে আমরা পেয়ে গেছি। কিন্তু এখনই বিজয় ঘোষণা করতে চাই না। কারণ পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের জন্য প্রতিটি ভোট গণনা হওয়া প্রয়োজন। কেননা ফল পাল্টে দেয়ার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ডেলওয়ারে উইলমিংটনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রধান প্রচারণা শিবিরে তার সঙ্গে ছিলেন রানিংমেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। জয় অনেকটা নিশ্চিত জেনেও এদিন তারা কোনো আনন্দ করেননি। এমনকি কোনো ভি-চিহ্ন কিংবা বিজয়ের অভিব্যক্তি দেখাননি। এদিকে হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুম থেকে দেয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমরা এ নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এটা মার্কিন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। তিনি ভোট গণনার অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। মঙ্গলবারের নির্বাচনের আগেই ডাকযোগে ভোট দেয়া নিয়ে ৪৫টি রাজ্যে রিপাবলিকানের পক্ষে তিন শতাধিক মামলা করা হয়েছে। ব্যালট গ্রহণের সময়সীমা, সাক্ষীর স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা এবং খামগুলো পোস্ট করার মতো বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে মামলাগুলো হয়েছে। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলো বলছে, ভোটারদের জালিয়াতি ঠেকানোর জন্য বিধিনিষেধের প্রয়োজন ছিল। তবে ডেমোক্র্যাটদের দাবি, মানুষজনকে নাগরিক অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার পাঁয়তারা এটি। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উইসকনসিনের ভোট আবারও গণনা করা হোক। ২০১৬ সালেও সেখানে ভোট পুনরায় গণনা করা হয়েছিলো। আর তাতে ফল কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুসারে ভোটের ব্যাপারে অভিযোগ করতে হলে রাজ্য সরকারের আদালতে যেতে হবে। রাজ্যের বিচারক সেই অভিযোগ খারিজ করে দিতে পারেন কিংবা ভোট পুনরায় গণনার নির্দেশ দিতে পারেন। এমনকি সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য সরকারের বিচার বিভাগের রায় বাতিলের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।
আইন বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে যে ফল জানা গেছে, তা একাধারে ঠিক, আবার ঠিক নয়। যখন তথ্যে কোনো প্রার্থীর এগিয়ে থাকা দেখা যায়, তখন মার্কিন গণমাধ্যমগুলোয় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ভোটের পরদিন সকাল থেকে এ ধারা চলতে দেখা যায়। কিন্তু এগুলো অফিশিয়াল বা চূড়ান্ত ফল নয়। এগুলো পূর্বাভাস। চূড়ান্ত ফল আসতে কয়েকদিন লেগে যায়। এ বছর ব্যাপকভাবে ডাকযোগে ভোট আসায় গণনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। সুইং স্টেটগুলোয় নির্বাচনের আগে এসব ভোট গণনার অনুমতি নেই। তাই নির্বাচনের পরই এসব ভোট গণনা করতে হয়। এসব ভোট গণনায় সময় লাগে বেশি। বিপার্টিশান পলিসি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ম্যাথু উইল বলেন, যদি নির্বাচনে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হয় এবং কোনো প্রার্থীর জয় বিবেচনা করার মতো না হয়, তবে পোস্টে আসা ভোট গণনা চালিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের আগেই ৪৫ অঙ্গরাজ্যে পোস্টাল ভোট ও আগাম ভোট নিয়ে ৩০০টি মামলা হয়েছে। ব্যালট পোস্ট করার ও গ্রহণের সময়সীমার মতো বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে এসব মামলা করা হয়। রিপাবলিকান অধিকৃত রাজ্যগুলো বলেছে যে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে আগে থেকেই বিধিনিষেধের প্রয়োজন ছিলো। তবে ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য, এসব বিধিনিষেধ নাগরিক অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা এখনও কাটছে না। এরই মধ্যে বেশির ভাগ ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল হাতে চলে এসেছে। ২৬৪ ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে অবস্থান করছেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। এখন এগিয়ে থাকা আরেক ব্যাটলগ্রাউন্ড নেভাদায় (ছয়টি ইলেকটোরাল ভোট) জয় পেলেই ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের সেই কাক্সিক্ষত ‘ম্যাজিক ফিগার’ পেয়ে যাবেন বাইডেন। ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৪৫ অঙ্গরাজ্যের ফল এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪টি ইলেকটোরাল ভোট। অপরদিকে রিপাবলিকান ট্রাম্পের হাতে আছে ২১৪টি ভোট। ট্রাম্পকে মসনদ টিকিয়ে রাখতে দরকার আরও ৫৬টি ইলেকটোরাল ভোট। নেভাদায় বর্তমানে মাত্র দশমিক ছয় শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন বাইডেন। সেখানে এখন পর্যন্ত গণনা হওয়া ভোটের ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। তুমুল লড়াই হওয়া এই রাজ্যটির জয়-পরাজয়ের ওপর পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন, তার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে। ফল ঘোষণার বাকি ৫ রাজ্যে কে কোথায় এগিয়ে: এরই মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন ২৩টিতে। আর ডেমোক্র্যাটদের দখলে গেছে ২২টি রাজ্য। বাকি পাঁচ অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা চলছে। এগুলোয় জয়-পরাজয়ের ওপর নির্ভর করছে কে হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। রাজ্যগুলো হলো- পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, নেভাদা ও আলাস্কা। পেনসিলভানিয়ায় ২০টি, জর্জিয়ায় ১৬, নর্থ ক্যারোলিনায় ১৫ এবং আলাস্কায় তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। রাজ্যগুলোর মোট ইলেকটোরাল ভোট ৬০। এদের মধ্যে নেভাদায় এগিয়ে আছেন বাইডেন। চারটি রাজ্যের ভোট গণনায় এগিয়ে আছেন ট্রাম্প আর একটি রাজ্যে বাইডেন। তবে ব্যবধান খুবই কম। বাকি রাজ্যগুলোয় ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান যৎসামান্য থাকায় পরিস্থিতি উল্টে যেতে পারে। এত পিছিয়ে থেকে ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, যদি বাকি পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে জয় পান। সেগুলো হলো- পেনসিলভানিয়া (২০), জর্জিয়া (১৬), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫) নেভাদা (৬) ও আলাস্কা (৩)। রাজ্যগুলোর মোট ইলেকটোরাল ভোট ৬০। পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প যদি জেতেন, তার ইলেকটোরাল ভোট হবে ২৭৪টি। সেক্ষেত্রে বাইডেনের চেয়ে ১০ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হবেন ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল ভোট (২১৪) হলো- আলাবামা (৯), আরকানসাস (৬), ফ্লোরিডা (২৯), আইদাহো (৪), ইন্ডিয়ানা (১১), আইওয়া (৬), কানসাস (৬), কেন্টাকি (৮), লুইজিয়ানা (৮), মেইন (১), মিসিসিপি (৬), মিসৌরি (১০), মন্টানা (৩), নেবরাসকা (৪), নর্থ ডাকোটা (৩), ওহাইও (১৮), ওকলাহোমা (৭), সাউথ ক্যারোলিনা (৯), সাউথ ডাকোটা (৩), টেনিসি (১১), টেক্সাস (৩৮), ইউটাহ (৬), ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া (৫) ও ওয়েমিং (৩)। অপরদিকে বাইডেনের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল ভোট (২৬৪) হলো- অ্যারিজোনা (১১), ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫), কলোরাডো (৯), কানেকটিকাট (৭), ডেলওয়্যার (৩), ডিস্ট্রিক্ট অব কলোম্বিয়া (৩), হাওয়াই (৪), ইলিনয় (২০), মেইন (৩), ম্যারিল্যান্ড (১০), ম্যাসাচুসেটস (১১), মিশিগান (১৬), মিনেসোটা (১০), নেবরাসকা (১), নিউ হ্যাম্পশায়ার (৪), নিউজার্সি (১৪), নিউ মেক্সিকো (৫), নিউইয়র্ক (২৯), ওরগেন (৭), রোড আইল্যান্ড (৪), ভারমন্ট (৩), ভার্জিনিয়া (১৩), ওয়াশিংটন (১২) ও উইসকনসিন (১০)। খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এখনও আশাবাদী এ কারণে যে, পাঁচটি অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া (২০), জর্জিয়া (১৬), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫) নেভাদা (৬) ও আলাস্কা (৩) মধ্যে চারটিতেই তিনি এগিয়ে আছেন। শুধু নেভাদায় এগিয়ে বাইডেন। তিনি নেভাদা দখলে নিতে পারলে ট্রাম্পের আশায় গুড়ে বালি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More