শাহজালাল মাজারে হামলার পরিকল্পনা ব্যার্থ ! ভাড়ার বাসায় ওঠেনি জঙ্গিরা?

পুন সম্পাদিত

সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। এ জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খুব শীঘ্রই জঙ্গিরা এ হামলা চালাতে চেয়েছিল। হামলার জন্য জঙ্গিদের অপারেশনাল টিমও নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি পুলিশ। লাগাতার অভিযানে এসব তথ্য পা্ওয়ার পর আরও একজনকে আটক করে অভিযানিক দল।
এর কিছুক্ষণ পর সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার শাপলাবাগে জঙ্গিদের ভাড়া করা বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তবে বাড়ির মালিক বলেছেন, দু মাস আগে দুজন যুবক নিজেদের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নেয়ার জন্য অগ্রিম দেন। তবে তারা ওই বাসায় ওঠেনি। এ তথ্য পেয়ে তার সত্যতা নিশ্চিত করার কাজ চলছিলো।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার শাপলাবাগের ৪০/এ শাহ ভিলা ঘেরাও করা হয়। এর আগ রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর জালালাবাদ এলাকার ৪৫/১০ লোহানী হাউজে আটক জঙ্গি সানাউল ইসলাম সাদিকে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বোমা বানানোর সরঞ্জামসহ একটি শক্তিশালী আইইডি উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী সিটি করপোরেশনের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আফতাব হোসেন খান। এর আগে টানা দুইদিনের অভিযানে সিলেট জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার নাইমুজ্জামানসহ ৫ জেএমবির সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নাইমুজ্জামান সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অন্য ৪ জনের মধ্যে রবি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সায়েম মদনমোহন কলেজের ছাত্র। পুলিশ জানায়, গত রোববার থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এবং পুলিশ সদর দফতরের ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেল (এলআইসি) যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মেট্রোপলিটন পুলিশও সহযোগিতা করে। সিটিটিসির উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি রাজধানীর পল্টনে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা ওই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। বুধবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত ৫ জনের মধ্যে নাইমুজ্জামান সিলেট জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করে আসছিল। সিলেট অঞ্চলে জঙ্গিদের সংগঠিত করা, তাদের প্রশিক্ষণ এবং জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করার মূল দায়িত্ব নাইমুজ্জামান পালন করতো। গ্রেফতার হওয়া নাইমুজ্জামান পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের সিলেট শাহজালাল মাজারে হামলার পরিকল্পনা ছিল। বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তারা ইতোমধ্যে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল। ওই হামলা কখন হবে, কীভাবে করা হবে এর জন্য তাদের অপারেশনাল টিমও নির্ধারণ করা হয়েছিল। এসব তথ্য পা্ওয়ার পর রাতে একটি বাড়ি ঘেরাও করা হয়। রাতে শেষ খবর পা্ওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া হলেও বাড়ির মালিকের নিকট থেকে পাওয়া তথ্যে অভিযান শিথিল করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More