৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস আদালত চলবে

স্টাফ রিপোর্টার: সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং শিল্প কলকারখানা খুলে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মকাণ্ড চালাতে হবে। তবে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধই থাকছে। অবশ্য কর্মস্থলে যাওয়ার গাড়ি ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে। এ ছাড়া কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল করতে পারবে। ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে সীমিত যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও চলবে।

বুধবার (২৭ মে) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশব্যাপী হাট বাজার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যান চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচলের রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হবে। বিমান পরিচালনার বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। ১৫ জুন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এরপর পরবর্তী সময়ে জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরো জানান, বেসরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুাযায়ী অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে তারাও অসুস্থ, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের অফিস করাবেন না। যেসব সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসের নিজস্ব গাড়ি (বাস, মাইক্রো) আছে তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। তবে যাত্রীবাহী বাস, নৌ-যান, রেল চলবে না।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির বাড়ানো হয়। এক মাস রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে গেল দুদিন আগে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটিও শেষ হচ্ছে তিন দিন পর, ৩০ মে। এ অবস্থায় ছুটি আরও বাড়বে কি না, সেটিই এখন অনেকের জিজ্ঞাসা।  এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ছুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত আসল। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০ মে ছুটি শেষ হচ্ছে। এরপর নাগরিক জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কমকাণ্ড এবং অফিস-আদালত সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে খুলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী কর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১৩ দফা মানতে হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More