মাশরাফির পর তার স্ত্রী সুমি করোনা আক্রান্ত : লোহাগড়া পৌর এলাকা লকডাউনের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি’র পর তার স্ত্রী সুমি ও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে নড়াইলের লোহাগড়াকে অবরুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা। সোমবার এ আহ্বান জানান তিনি।

জানা গেছে, ২০ জুন চিকিৎসকরা জানান করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। ঘরে বসে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ঢাকার নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন সবার প্রিয় ম্যাশ। এরই মধ্যে মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (৬ জুলাই) রাতে মাশরাফির পারিবারিক সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢাকার বাসায় থেকে মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমি চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুমির শারীরিক অবস্থা ভালো।
মাশরাফি করোনা আক্রান্ত হওয়ার দুই দিনপর তার একমাত্র ছোট ভাই মুরসালিন বিন মর্তুজা (সিজার) করোনা আক্রান্ত হন। চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন মাশরাফি, মাশরাফির ছোট ভাই সিজার এবং স্ত্রী সুমনা হক সুমি। অপরদিকে করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধ বিষয়ক এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকাকে অবরুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘করোনার বিস্তার প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এই সবার আয়োজন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এই কৃতী ক্রিকেটার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। সভায় মাশরাফি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লোহাগড়া উপজেলাকে ‘আইসোলেটেড’ করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, “লকডাউন শব্দটি এখন সবার কাছে আবেদন হারিয়েছে বলে আমার মনে হয়। তাই লকডাউন নয় আমি বলতে চাই লোহাগড়া ইজ আন্ডার আইসোলেশন।” এটা বাস্তবায়নে ১০ জন করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সার্বক্ষণিক কাজ করবে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “টিমে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ এলাকার সচেতন মানুষেরা থাকবেন। চলমান বিপদের দিনে একসাথে টিম ওয়ার্ক করলে সবার মাঝে একটি ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হবে।”
মাশরাফির ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ আগামী ১০ তারিখ থেকে লোহাগড়া ও নড়াইল সদরে দুটি বুথের মাধ্যমে এলাকার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য ‘পালস অক্সিমিটার’ ও ‘অক্সিজেন সিলিন্ডার’ সরবরাহ করবে বলে মাশরাফি জানান। তিনি বলেন, টেস্টের পরিমাণ বাড়িয়ে পজিটিভদের আইসোলেট করা আর নেগেটিভরা যেন ঘরের বাইরে না যায় এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশানুরূপ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমিত এই ক্রিকেটার বলেন, “আমি আমার সন্তানদের থেকে দীর্ঘ ১৭ দিন বিচ্ছিন্ন আছি, একজন পিতা হিসেবে এটা কতোটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন আছি। তারা আমার কাছে আসতে পারছেন না। এটা অনেক বেদনার।”

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More