করোনায় কাড়লো আরও ৪৬ জনের প্রাণ : মৃত্যুহারে পুরুষ প্রায় ৮০ শতাংশ

ঢাকা অফিস: ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই বৈশ্বিক মহামারী দুই হাজার ১৯৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো। বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এমন তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেছেন,যারা করোনাভাইরাসে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ পুরুষ ও ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নারী।
অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে গত একদিনে তিন হাজার ৪৮৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ। যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ ও আটজন নারী। এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৪১ জন পুরুষ ও ৪৫৬ নারী কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। শতাংশ হিসেবে ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ পুরুষ ও ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নারী। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে নতুন দুই হাজার ৭৩৬ জনসহ মোট ৮০ হাজার ৮৩৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার চার মাস পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিকে আক্রান্তের গতি ধীর থাকলেও দিনে দিনে তা তীব্র হচ্ছে। প্রথম তিন মাসের তুলনায় চতুর্থ মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। মোট রোগীর ৫৯ শতাংশের বেশি শনাক্ত হয়েছে চতুর্থ মাসে। আর মোট মৃত্যুর প্রায় ৫৭ শতাংশ ছিল এই এক মাসে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
প্রসঙ্গত: বছরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমে সেটা বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। চীন দুই মাসের মধ্যে তাদের দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ইউরোপের অনেক দেশেও তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সে তুলনায় এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের বেশির ভাগ দেশে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বেশি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More