জমকালো আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ৪ যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান এই জনপদের কবি-সাহিত্যিকদের শিল্পকর্মকে সংরক্ষণ করা হবে-এডিসি তারিক
উৎসবের শেষ ভাগে ছিল এক আবেগঘন পর্ব—সংগঠনের অন্যতম সহ-সভাপতি তৌহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে ‘মরণে তোমারে হারায়ে যেন পাই’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠান। প্রয়াত সদস্যদের কীর্তিময় জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন কবি গোলাম কবীর মুকুল, কাজল মাহমুদ, ইকবাল আতাহার তাজ, হামিদুল হক মুন্সী ও সরদার আলী হোসেন। এই পর্বটি পরিষদের দীর্ঘদিনের পথচলায় হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রদের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে প্রতিভাত হয়।
অনুষ্ঠানের সকল পর্ব শেষে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে এক অনানুষ্ঠানিক আড্ডায় মেতে ওঠেন লেখক-সাহিত্যিকরা। তারা এ আড্ডায় আগামী ২০২৭ সালে অনুষ্ঠেয় সংগঠনের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব জাকজমকভাবে পালনের অঙ্গীকার করেন।
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান সাহিত্যকে ইতিহাস ও মানসিক বিকাশের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘সাহিত্য আমাদের মনের বিকাশ ঘটায়। যে ইতিহাস জানেনা তার ধ্বংস অনিবার্য। সাহিত্য কিন্তুু ইতিহাসকে ধারণ করে, লালন করে।’ তিনি তরুণদের অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ তরুনদের উপস্থিতি খুব কম। এই সাহিত্যের আসরে তরুনদের অংশগ্রহণ খুব জরুরি। এই সাহিত্যের আসরে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে হবে তবেই তাদের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকবে শিল্প সাহিত্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যখন সাহিত্যের ভিতর আসবে, তখন তার চিন্তা ও মানসিকতার একটি সুন্দর বিকাশ ঘটবে। তখন এই মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, খারাপ আড্ডা এড়িয়ে চলা খুব সহজ হবে… সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে তাদের বিকশিত করতে হবে। সামনে দিন গুলোকে কিভাবে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং তরুন সমাজকে কিভাবে এই শিল্প সাহিত্যের ভিতর অগ্রসর করা যায় সেইদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.