সাঙ্গীতিক সুধায় বুঁদ ছিলো শরত রজনী

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: শরতের রাত। আকাশে মেঘের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ইতস্তত ছড়িয়ে পড়ছে চাঁদের মায়াবি রোশনা। মফস্বল শহর আলমডাঙ্গার হাইরোড বলতে গেলে জনশূন্য। মাঝে মাঝে কিছু পাখিভ্যান দ্রুত আলো ফেলে হারিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিবেশে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রয়াত সাহিত্যিক মারুফুল হকের বাড়িতে বসেছে বৈঠকী সঙ্গীতানুষ্ঠান। খ্যাতিমান বংশীবাদক খোকন আর এ সময়ের সেনসেশন, টিভি চ্যানেলের পরিচিত মুখ সুশ্রী কণ্ঠশিল্পী রতœা পারভীনের যুগলবন্দীর সুর সুধায় বুঁদ হয়েছিলো শরতের স্নিগ্ধ রজনী। রতœা পারভীন হৃদয়ের সবটুকু দরদ ঢেলে দিয়ে পরপর গাইলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, লতা মুঙ্গেস্কর ও পঙ্কোজ উদাসের ১২টি জনপ্রিয় সঙ্গীত। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘মায়াবতী মেঘে এল তন্দ্রা’ গানটি দিয়ে শুরু করলেন। পরে একে একে ‘মধু মালতী ডাকে আয়’, ‘হয়তো কিছু নাহি পাবো, ‘পঙ্কোজ উদাসের হৃদয়স্পর্শী প্রেমের গজল’,  ‘চান্দি জ্যায়সা রাঙ হ্যায় তেরা’, কিংবা সুর স¤্রাজ্ঞী লতা মুঙ্গেস্করের ‘রঙিলা বাঁশিতে কে ডাকে ঘুম ঘুম নিঝুম রাতের মায়ায়’ ইত্যাদি সঙ্গীতের সাঙ্গীতিক মায়ায় আশ্বিনের স্বল্পস্থায়ী চাঁদ যেনো লজ্জা পেয়ে দ্রুত মুখ লুকিয়ে নিয়েছিলো।

একদিকে রতœা পারভীনের কন্ঠের সুরের অনুপ ইন্দ্রজাল অন্যদিকে দুই বাংলার জনপ্রিয় বংশীবাদক মনোয়ার হোসেন খোকনের বাঁশির কুহকে  যেনো শরতের রাত্রিও নেশায় বুঁদ হয়েছিলো।

২০ সেপ্টেম্বর রাতের এ বৈঠকী সঙ্গীত আসরে প্যাড ড্রামে সঙ্গ দেন ঝিনাইদহ শহরের নাজির উদ্দীন, তবলায় তুষার হক ও সুশীল কর্মকার, কীবোর্ডে মোমিনুর রহমান প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More