বিদ্রোহীর কাছে ধরাশয়ী আ.লীগ প্রার্থীরা: অন্তঃকোন্দলেই ৩৮ প্রাণহানি

স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এ ধাপে প্রায় ২৫ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীরা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে দলীয় প্রার্থীর জয়ের হার ৫৬ শতাংশ। দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা একইসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সুবিধা পেয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের জয়ের হার ৯ শতাংশ। ৬৪৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪৮৬ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭৮ জন জয়ীসহ), স্বতন্ত্র ৩৩০, জাতীয়পার্টি ১০ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ৪টিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিস ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে ইউনিয়নে জয় পেয়েছে। এ ধাপে ভোট পড়ার হার ৭৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
৪৬ জেলার ৬৪৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৩৬১টিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন প্রায় ৫৬ শতাংশ ইউপিতে। অপরদিকে এসব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৬০টিতে; যা প্রায় ২৫ শতাংশ। এ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে কোনো প্রার্থী দেয়নি। দলটির স্থানীয় নেতারা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫০টিতে ও জামায়াতের ৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুটি দল মিলিয়ে প্রায় ৯ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদে জয় পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের ৬৩টি জেলার ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সাতজন নিহত হন। আহত হন তিন শতাধিক। ওইদিনই ভোটের পর স্থানীয়ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ভোট হওয়া ৮৩৪টির মধ্যে কয়েকটির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। সেসব ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল একীভূত করার পর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে।
খুলনায় ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টিতে আওয়ামী লীগ, ১০টিতে একই দলের বিদ্রোহী ও ৫টিতে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। নড়াইলের ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ, ৪টিতে বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপি জয়ী হয়েছে। ঝিনাইদহের ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে ৬টিতেই সরকারি দলের বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ছয়টিতে দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। সাতক্ষীরার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতেই বিদ্রোহী ও তিনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এ জেলায় একটিতে বিএনপি ও দুটিতে জামায়াত নেতারা চেয়ারম্যান হয়েছেন। রংপুরের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তিনটিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে বিএনপি, একটিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে জামায়াত জয়ী হয়েছে। যশোরের ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৩টিতে আওয়ামী লীগ, ৬টিতে একই দলের বিদ্রোহী ও তিনটিতে বিএনপির নেতারা জয়ী হয়েছেন। মেহেরপুরে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে বিদ্রোহী জয়ী হয়েছেন। দলীয় প্রার্থীরা জিতেছেন মাত্র দুটিতে। চুয়াডাঙ্গার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের দুটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় ও দুটিতে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মাগুরায় দুজন, কুষ্টিয়ায় ৭ জন, বগুড়ায় তিনজন, ফরিদপুরে ৫ জন, রাজশাহীতে ৬ জন, সুনামগঞ্জে ৬ জন, ঢাকা জেলায় ৭জন, শরীয়তপুরে ৪ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের চার জেলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। একইভাবে কুমিল্লা ও আশপাশের ছয় জেলায় ১৩জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫ জেলায় তিনজন, নরসিংদীতে ছয়জন, পাবনায় দুজন, লালমনিরহাটে একজন, সিলেট অঞ্চলের তিন জেলায় ১০ জন ও গাইবান্ধায় তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
এদিকে, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তখনো জমে ওঠেনি। ১৫ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিল চলছিলো মাত্র। ওই সময়ই মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউপিতে প্রার্থী দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দলে চারজনের প্রাণহানি ঘটে। ওই সহিংসতায় জগদল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যে কোন্দলের বিষয়টি ফুটে ওঠে। তিনি বলেছেন, দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অনেক দিন ধরেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সে বিরোধ চূড়ান্ত রূপ নেয়। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ভোটের দিন ভোরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতায় এ জেলায় নয়জন মারা যান। জানা গেছে, দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সারা রাত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। ভোররাতে দুই পক্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এছাড়া ৪ নভেম্বর সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হন। রায়পুরার চরাঞ্চল পাড়াতলী ইউনিয়নে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত ও পরে আরেকজন মারা যান। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত নয়জনই আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, যা নির্বাচন সামনে রেখে মীমাংসিত হওয়ার বদলে সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। বিশ্লেষকদের মতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা, চরাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় পুলিশের কম নজরদারি, অবৈধ অস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় এমন সহিংসতা ঘটেছে। এ ছাড়া গত ১০ বছরে আধিপত্য বিস্তারের নামে নরসিংদীর চরাঞ্চলগুলোয় ২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রথম ধাপের দুই দিনের ভোটে অর্থাৎ ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাঁচজন। দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরুর আগেই মারা গেছেন ২৩ জন। আর ভোটের দিন ১১ নভেম্বর প্রাণ গেছে আরও সাতজনের। এছাড়া ভোটের দিন গভীর রাতে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ঢাকার ধামরাইয়ে দুজন নিহত হন। ১১ নভেম্বর রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাণীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল লতিফ মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যিনি এবারও নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে দুই ধাপে নির্বাচনী সহিংসতায় মোট ৩৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
দেশে এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপি এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি। জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণও অনেকটা নামমাত্র। মাঠে বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ একাই। আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং এ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যেই মূলত সহিংসতা ঘটছে। এছাড়া সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে দলীয় প্রতীক না থাকলেও এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার লড়াইয়ে রক্ত ঝরছে নিজ দলের। বিশ্লেষকদের মতে নির্বাচনী সহিংসতায় যে ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে তা মূলত আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দলের কারণেই। এ ধাপের নির্বাচনে ৮৩৪ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়েছেন ৪৮৬, স্বতন্ত্র ৩৩০, জাতীয়পার্টি ১০, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৪, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১, খেলাফত মজলিস ১ ও জাসদের ১ জন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনেক ইউপিতেই বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে যে সহিংসতাগুলো ঘটছে তার দায় নির্বাচন কমিশনের।’ সংঘর্ষের সঙ্গে হালুয়া-রুটির সম্পর্ক আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে নির্বাচনে এখন হালুয়া-রুটির বিষয় আছে। এটা একটা বড় ফ্যাক্টর। এখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া মানে সে অনেক ক্ষমতাবান।’ নির্বাচন বিশ্লেষক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেছেন, ‘নির্বাচনে আগেও প্রাণহানি হয়েছে। তবে নিজ দলের মধ্যে হয়নি। এখন যত প্রাণহানি হয়েছে তার অর্ধেকের বেশি শাসক দলের নিজেদের মধ্যে। অন্য দল তো নেই। শাসক দলের নেতা-কর্মীরাই এখন বিভক্ত।’
প্রাণ গেল ৩৮ জনের: ২১ জুন প্রথম ধাপের ২০৪ ইউপি ভোটের দিন বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সহিংসতায় দুজন নিহত হন। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন। এ ছাড়া ২০ সেপ্টেম্বরের প্রথম ধাপের বাকি ১৬০ ইউপি নির্বাচনের দিন কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলি ও সংঘাতে দুজন নিহত হন। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন ১১ নভেম্বর নরসিংদীর রায়পুরায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন প্রাণ হারান। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দুটি ইউনিয়নে আলাদা সংঘর্ষে মারা গেছেন দুজন। কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নিহত হয়েছেন একজন। এ ছাড়া ভোটের দিন ১১ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকার ধামরাইয়ে নিহত হয়েছেন দুজন। একই দিন রাতে রাজবাড়ী সদরে একজন সাবেক চেয়ারম্যান গুলিতে নিহত হয়েছেন। এর আগে নরসিংদীতে দুবারে ছয়জন, মাগুরায় চারজন, মেহেরপুরে দুজন, রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে দুই দফায় দুজন এবং কক্সবাজার, সিলেট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী ও ফরিদপুরে একজন করে নিহত হয়েছেন। এদিকে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত ইউপি, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৬৯টি সহিংসতা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮ জন এবং নিহত হয়েছেন ৮৫ জন। নিহতের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪১, বিএনপির ২, সাধারণ মানুষ ২২, পুলিশের গুলিতে ১৫ এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More