ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা পাশা গ্রেফতার

গাংনীর বিভিন্ন স্থানে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার চরমোনতাজ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলার ২ নং আসামি হিসেবে গতকাল বুধবার তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে চরমোনতাজ গ্রামে আনোয়ার পাশা অবস্থান করছিলেন বলে জানায় পুলিশ। এ বিষয়টি আনোয়ার পাশা পুলিশকে জানিয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রীয় নেতা কর্মীরা মিলে গত ২৪ মার্চ গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামস্থ চাঁদপুর তিন রাস্তার মোড়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রবের বাড়িতে ইফতার মাহফিল করে। মূলত ইফতার মাহফিলের অন্তরালে অন্তর্ঘাত মূলক কার্যকলাপ ও নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার জন্য প্রস্তুতি নিশ্চিল। এসময তারা দলীয় ব্যানার হাতে নিয়ে এবং কিছু আসামীর হাতে লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেনদা ছিলো। এসময় তারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনা দ্রুত দেশে আসবে বলে শ্লোগান দিতে থাকে। তখন কিছু মানুষ সেখানে এগিয়ে গেলে আসামীরা তাৎক্ষনিকভাবে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকা- করার অপচেষ্টা করে। তখন প্রতিবাদকারী লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় গাংনীর হলপাড়ার মাসুম খন্দকার নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে গত ১৩ এপ্রিল গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশাকে ২ নং আসামি করে আরও ৮২ জনকে আসামি করা হয়। গাংনী থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে আসামি গ্রেফতারে মাঠে নামে। পরে মামলাটির তদন্তভার যায় ডিবি পুলিশের হাতে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম (পিপিএম) জানান, আসামিরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের গ্রেফতার করা হবে। এলাকায় বিশৃংখলা ও নাশকতা সৃষ্টির জন্য যারাই চেষ্টা করবে পুলিশ তাদেরকে কঠোরহস্তে প্রতিহত করবে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার আনোয়ার পাশাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারের হাজতবাসে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন পাশা মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও জেলা পরিষদের সদস্য প্রয়াত আইয়ুব আলীর ভাতিজা। গেল ইউপি নির্বাচনে সে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করে চেয়ারম্যান হয়।
পতিত সরকারের পতনের পর আত্মগোপন করেন পাশা। আত্মগোপনে থাকার মধ্যে রমজান মাসে চাঁদপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে যোগ দেয়। যার ভিডিও ফূটেজ দেখে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More