দামুড়হুদার হাসিনা ফুডের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের নির্দেশনা উপেক্ষার অভিযোগ : উৎপাদিত খাদ্যপণ্যে মাছি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: পচা, বিদীর্ণ ৩০ পিস ডিম ৫০ টাকায় কিনে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কেক-বিস্কুট বানানো দামুড়হুদা উপজেলা সদরের হাসিনা ফুডকে গত পরশু রোববার ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ফ্যাক্টরি একদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন হাসিনা ফুড। গতকাল সোমবারও খাদ্যদ্রব্য বানিয়ে তা বাজারজাত করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। গতকালের বানানো পণ্যে ২টি স্পেশাল কেকের মধ্যে ২টি করে মরা মাছি পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজারের আশরাফুল হক আশার চায়ের দোকানে হাসিনা ফুডের তৈরি স্পেশাল কেকের মধ্যে এ মরা মাছিগুলো দেখতে পায় এলাকাবাসী। দোকানি আশরাফুল হক আশা জানান, হাসিনা ফুডের তৈরি এ স্পেশাল কেকের খুচরা মুল্য ৫০ টাকা, ওজন ১৭০ গ্রাম, মেয়াদ ৭দিন আর উৎপাদনের তারিখ ২৮/০৪/২০২৫ইং। হাসিনা ফুডের এ কেকগুলো এখানে বিক্রি করতে এসেছিলেন পরিবেশক নজরুল ইসলাম। কেকের মধ্যে মরা মাছিগুলো দেখা মাত্রই তিনি পরিবেশককে বিষয়টি অবগত করেন। হাসিনা ফুডের পরিবেশক নজরুল ইসলাম জানান, এ ফ্যাক্টরির উৎপাদিত পণ্য ফ্যাক্টরি থেকে সরাসরি সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন তিনি। প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও তিনি বাজারজাত করছিলেন। কেকের মধ্যে মরা মাছিগুলো আশার দোকানেই তার চোখে পড়েছে। এ বিষয়ে তার কোনো কিছুই জানা নেই। হাসিনা ফুডের প্রোপাইটর কবীর উদ্দিন মিন্টুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, মাছি সব সময় নোংরা জায়গায় বসে। যার ফলে মাছি ব্যাকটেরিয়া বহন করে। ব্যাকটেরিয়া জনিত খাবার খেলে ফুড প্রয়জেন, যেমন, পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More