চট্টগ্রাম টেস্ট : মিরাজের হাত ধরে বাংলাদেশের জয়

স্টফ রিপোর্টার: মধ্যাহ্ন বিরতির ১০ মিনিট আগে হুট করে বজ্রপাতের আলোয় ঝলকে ওঠে সাগরিকা। গতকাল বুধবার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে অমন ঝলক দেখিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বজ্রপাতের মতো সেটি ক্ষণস্থায়ী ছিলো না, স্থায়ীভাবে জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট থেকে পিছিয়ে দেয়। ব্যাট হাতে দায়িত্ব পালনের পরে মিরাজ বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন, তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে সিলেট টেস্টের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টের মূল পার্থক্যটা মিরাজই গড়ে দেন। প্রথমে তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছে কষ্টসাধ্য পথ। এরপরে ঘূর্ণিতে তিন দিনেই জয় তুলে নেয় টাইগার বাহিনী। এমন জয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোশাকের এই সিরিজ ড্র করলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম জানিয়েছিলেন, মিরাজের ওপরে ভরসা রেখেছেন তারা। সঙ্গে তাইজুল ইসলামেও আশা দেখেছিলেন। তৃতীয় দিনে তাইজুল যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। ২০ রান করে তিনি আউট হলেও মিরাজের সঙ্গে আট নম্বর উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। এরপরে সেই জায়গা নেন তানজিম হাসান সাকিব। এবার সাকিব-মিরাজের জুটি হয় ৯৬ রানের। এই দুটি জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশের জন্য। ৪১ রান করে সাকিব আউট হলে মিরাজের সেঞ্চুরি হবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তবে হাসান মাহমুদ চমৎকার প্রতিরোধ গড়ে মিরাজকে সেঞ্চুরির সুযোগ করে দেন। গেলো বছর মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৭ রান করে আউট হয়েছিলেন মিরাজ। এবারও তেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তানজিম সাকিবের আউটের পরে। কিন্তু হাসানের কল্যাণে মিরাজ তুলে নিতে পেরেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চট্টগ্রাম টেস্টে সাদমানের সেঞ্চুরির পরে নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকের আলী অনিক, মুশফিকুর রহিমরা হতাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষদিকে মিরাজের প্রতিরোধে সেটি নিয়ে খুব আক্ষেপ করতে হয়নি বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের তোলা ২২৭ রানের বিপরীতে টাইগার বাহিনী প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান তোলে। তাতে ২১৭ রানের লিড পান শান্তরা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশের স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত দশা তৈরি হয় জিম্বাবুয়ের। দলীয় ৮ রান থেকে শুরু হয় উইকেট হারানোর মিছিল। ১১১ রানে অলআউট হয়ে সেই মিছিল থামে। বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় পায়। সিলেট টেস্ট জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেটে জেতায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি ১-১ এ ড্র হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More