দামুড়হুদার ছয়ঘরিয়া গ্রামে স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় মামলা : হুকুমের দুই আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেন (১৩) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর পিতা জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করেন। পুলিশ হুকুমের আসামিসহ এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি হযরত আলীসহ তিনজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গত সোমবার বিকেলে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মা-বাবার সামনেই স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। রিয়াদ ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুরে গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়েছে। বাদ আসর দাফন করা হয়। দর্শনা থানার ওসি শহীদ মো. তিতুমীর জানান, স্কুলছাত্র রিয়াদ খুনের ঘটনায় তার বাবা জিয়ারুল ইসলাম থানায় মামলা করেছেন। মামলায় প্রতিবেশী হযরত আলী, তার ভাগনে বিদ্যুৎ, মা ফাহিমা খাতুন, বোন বিউটি খাতুন ও স্ত্রী সুবর্ণা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। হুকুমের আসামি ফাহিমা খাতুন ও সুবর্ণা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে আসামি বিউটি খাতুন তিন মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিউটির স্বামী আনোয়ারের সঙ্গে জিয়ারুলের বন্ধুত্ব থাকায় আসামিরা প্রায়ই তাকে (জিয়ারুল) গালমন্দ করতেন। ১২ মে বেলা ৩টার দিকে জিয়ারুল বাড়ি থেকে মাঠের দিকে যাওয়ার সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন আসামি ফাহিমা খাতুন। গালি দিতে নিষেধ করলে জিয়ারুলের গেঞ্জির কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন ফাহিমা। সেখান থেকে জিয়ারুল কৌশলে বাড়ি ফিরে আসেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠি, লোহার রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিয়ারুলের বাড়ির সামনে আসেন। বাড়ির সামনে তারা রিয়াদকে দেখতে পান। এ সময় ফাহিমা খাতুনের হুকুমে হযরত আলী রামদা দিয়ে রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More