চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলনকারী হাতিসহ মাহুত আটক

স্টাফ রিপোর্টার: একসময় বিভিন্ন মেলায় নামকরা কিছু সার্কাস দলের বিশালদেহী হাতি দেখা যেত। যা আসলে দর্শণার্থীদের মনোরঞ্জন দিত। তাছাড়া বহু পূর্বে জমিদার বা বড় বনিকেরা যানবাহন হিসাবে ব্যবহার করতো। কিন্তু আজ তা অনেকটা বিলুপ্তির পথে। এখন হাতি গুলোকে ভিন্ন খাতে ব্যবহার হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও তার আশপাশে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশালদেহী হাতি গুলোকে পুঁজি করে নিরব চাঁদাবাজী চলে। গত ১১ তারিখ আসমানখালী বাজার হতে চার ৪জন সহকারী সহ একজন মাহুত একটি হাতি নিয়ে রাস্তার দুপাশ ও চলন্ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজী করছিলেন। খবরটি চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তা রকিব উদ্দিনের কাছে আসে। তখন তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবতার জন্য-কে জানায়। পরবর্তিতে বন বিভাগ ও মানবতার জন্য সংগঠনের কর্মীরা হাতিটির অবস্থান নিশ্চিত করতে থাকে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হাতিটিকে গড়াইটুপির অম্রবুচি মেলার মাঠে পেয়ে যায়। পরবর্তীতে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগকে জানালে তারা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে স্পটে চলে আসে। পরক্ষণে জীবননগর উপজেলার বন কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম কাজল উপস্থিত হন। মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যার প্রভাষক বলেন, হাতিটিকে খুবই রুগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। আর সেই অবস্থায় সে শত শত পথ পায়ে হাটিয়ে এই চাঁদা আদায় করে থাকে। বিশেষ করে চলন্ত গাড়ির সামনে ও বিভিন্ন বাহনের সামনে এসে চাঁদা আদায় করে। অনেক সময় যানবাহনে থাকা বাচ্চারা খুবই ভয় পেয়ে থাকে। আমাদের এই প্রাণিটির কথা না ভেবে তাকে ব্যবহার করে চাঁদা বন্ধের জন্য জোর দাবি জানায়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরকার বলেন, আমরা হাতিটি আটকের পর চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর বন কর্মকর্তার নিকট হস্থান্তর করেছি। হাতিটির লাইসেন্স অনুযায়ী মূল মালিক হলো লাল চান। যার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। তার কাছ হতে হাতিটির সমস্ত কাগজ পত্র অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়। এবং পরে মৌখিক মুচলেকাসহ হাতিটি ঝিনাইদহ বন বিভাগের নিকট হস্থান্তর করা হয়। সর্বশেষ হাতিটি ঝিনাইদহ বন বিভাগের অনুকূলে আছে। এ সময় সংগঠনের সদস্য ও বন বিভাগের কর্মচারী এবং গড়াইটুপি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More