চুয়াডাঙ্গায় আবারও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী : বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান তাপপ্রবাহ জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ছয় দিন ধরে এ জেলাতেই রেকর্ড হচ্ছে। এতে জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। প্রচ- ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গতাকল বুধবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই অবস্থায় অনুভূত তাপমাত্রা আরও বেশি বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর ও কৃষিকাজে নিয়োজিতরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পূর্ববর্তী কয়েক দিনের তাপমাত্রার চিত্রও ভয়াবহ। ১৩ মে মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ১২ মে সোমবার ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ১১ মে রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এছাড়া ১০ মে শনিবার মরসুমের সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার বেলা ৩টায় জেলার তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে, যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অন্যতম। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দুপুরের পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। রোদে বের হলেই মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে বলে জানান আলমডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাজমুল হক শাওন। তিনি বলেন, এই গরমে যেন নিঃশ্বাসও নিতে কষ্ট হয়। ভ্যাপসা গরমে শরীর জলে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালপাড়ার সাকিব আলী জানান, গত কয়েকদিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। চলাচলে আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি। এখুনি যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাপপ্রবাহের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি- প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার এবং দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করার। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ঝুঁকিগু দেখা দেয়। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.