দামুড়হুদার শিবনগর ডিসি ইকোপার্কে ঝুমকার মতো ঝুলছে সোনালু ফুল ও কৃষ্ণচূড়ার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
হাসমত আলী, কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: গ্রীষ্মের নির্মল বাতাসে দুলছে হলুদ-সোনালী রঙের থোকা থোকা সোনাঝরা সোনালু ফুল ও কৃষ্ণচূড়া। ঋতুরাজকেও হার মানানো সৌন্দর্য ফুটেছে লাল কৃষ্ণচুড়া ও সোনালু ফুল। ফুটেছে ঐ সোনালু ফুল, প্রকৃতির কানে অপূর্ব দুল। কাঁচা সোনায় কোন সোনারু বানইলে। দেখতে সুন্দর মন কাড়ে থোকা থোকা বনবাদড়ে, এত সুন্দর রঙিন সাজে কে সাজাইলে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতার মধ্যেই সোনালু ফুলের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। হলুদ বরণ সৌন্দর্য মাতোয়ারা করে রাখে চারপাশ। খরতাপে চলতি পথে পথিকের নজর কাড়বেই। গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে প্রাণের সজীবতা নিয়ে যেসব ফুল ফোটে তার মধ্যে সোনালু উল্লেখযোগ্য। গ্রীষ্ম রাঙানো এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি তার নামের বাহার-সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠি ইত্যাদি। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার শিবনগর ডিসি ইকোপার্কে সোনালু ফুল-কৃষ্ণচূড়া সৌন্দর্যের শোভা ছড়াচ্ছে। এ গাছের ফল বেশ লম্বা, লাঠির মতো গোল। তাছাড়া ফল, ফুল ও পাতা বানরের প্রিয় খাবার। এজন্য এ ফুলের আরেক নাম বান্দরলাঠি। গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলো যৌগিক, মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির। ফুল এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যান্ত চওড়া হয়। এ গাছের কাঠ জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য কাজে লাগে। ফলের শাঁস বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে। বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে উপকারী। বীজ সহজেই অঙ্কুরিত হয়, যদিও বৃদ্ধি মন্থর। এছাড়াও এ গাছের বাকল, রঙ ও ট্যানিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও শোভা বর্ধনকারী কৃষ্ণচুড়া ও সোনালু ফুল দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছে সমান গুরুত্ব বহন করে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা শিবনগর ডিসি ইকোপার্কের প্রধান ফটকে ও পার্কের ভিতরের রাস্তার ডান দিকের ভিতরের ও লেকের পাশের রাস্তার দুইদিকে সারি সারি কৃষ্ণচূড়াও সোনালু ফুল গাছগুলো বেড়াতে আসা দেশের বিভিন্ন পর্যটকদের আকৃষ্ট করে তুলেছে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক ডিসি ইকোপার্কে আসে অনেকে গাছের সারি সারি গাছের রাস্তায় পাপড়ি বিছানো রাস্তায় ছবি তোলার জন্য ভিড় দেখতে দেখা যায়। পার্কে বাহারি ফুল ফুটলেও রক্তিম কৃষ্ণচুড়া ও সোনাঝরা সোনালু ফুল চোখে আটকায় পর্যটকদের। কৃষ্ণচূড়া সূর্যের সবটুকু উত্তাপ যেন কেড়ে নিয়েছে টুক টুকে লাল এই কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া গাছ আগুন রঙফুল প্রকৃতির সব রংকে স্নান করে দিয়েছে। আর পার্কের ভিতরের সবুজ গাছে গাছে সুর দেয় নানান পাখির কলতান। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র বলেন, ব্যস্ত নাগরিক জীবনে একটু প্রশান্তি ও স্বস্তির খোঁজে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসছেন এই ডিসি ইকোপার্কে। চোখজুড়ানো বর্ণিল সারিবদ্ধ বিভিন্ন ফুলের ও ফলের গাছের সমারোহ দেখে উচ্ছাসিত পর্যটকরা। পার্কে আরো নতুন ফুল ও ফলের গাছসহ ভালো ভাবে সাজতে চাই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.