ভারতের কাছ থেকে অধিকার আদায়ে শক্তি ও শান্তির বিকল্প নাই : দুদুু

স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্য সম্মান, অধিকার, দাবি আদায় করতে হলে শক্তি ও শান্তির কোন বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ৪৯ তম ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, সিন্ধু নদীর পানি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যখন ভাগাভাগির বিষয় আসে তখন আরেকটি বিষয় আসে দুটি দেশই পারমাণবিক শক্তিধর। আমরা ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু পারমাণবিক শক্তিধর হইনি। তিস্তা নদী সহ ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রবেশের সব নদী ন্যায্য হিস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, শুধু মিছিল ও মিটিং করে ভারতকে পথে আনতে পারব এমন না। কূটনীতিক বিজয় দিয়ে পারবো তাও না। শক্তি ও শান্তি এই দুটোই আমাদের সামনে রাখতে হবে। শক্তি ও শান্তির এর কোন বিকল্প নাই। এটি মাথায় নিয়ে যদি আমার সামনে চলতে পারি তাহলে ভারতের কাছ থেকে আমাদের যে প্রাপ্য সম্মান, অধিকার তার দাবি আদায় করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
মাওলানা ভাসানীর স্মৃতিচারণ করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, মাওলানা ভাসানী একটা কথা বলেছিলেন এই পানির জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে। দূরদর্শী নেতা ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের ভালোর জন্য এমন কোন আন্দোলন নাই যে তিনি শরিক ছিলেন না। এই বাংলাদেশে তিনি ভালোকে ভালো বলতেন খারাপকে খারাপ বলতেন।
তিনি রাজনীতিবিদদের শুধু গুরু ছিলেন না কারিগর ছিলেন। মাওলানা ভাসানীর রাজনীতিকে যারা ধারণ করতে পারেনি আমার মনে হয় তারা দৈন্যতার মধ্যে আছে। তিনি ফারাক্কা লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন। ফারাক্কা লং মার্চে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নেমে পড়েছিল।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যার কথা বললে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা আসে, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের কথা আসে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি প্রথম স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ওনার নেতৃত্বেই তো আমরা রাস্তায় নেমে এসেছিলাম। এর সিঁড়িটা কি? এর মাথার ওপরে কি? সেটা হচ্ছে মাওলানা ভাসানী। সেজন্য মাওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে ইতিহাস বলা, লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আশীর্বাদ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ভালো কিছু করার জন্য সামনে এগিয়ে যাও। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে জাতিকে, রাজনীতিকে শুধু রক্ষা করেছে এমন নয় মাওলানা ভাসানী কেও তিনি সমৃদ্ধ করেছিলেন।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More