নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য যা করেছেন আপত্তি নাই কিন্তু নির্বাচনটা দেন : ড. ইউনুসকে শামসুজ্জামান দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ড. ইউনুস ভালো লোক। কিন্তু এই ৮ মাসে তিনি তার নিজের ক্ষেত্রে, তার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে কাজ করেছেন, তাতে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু নির্বাচনটা দেন। গতাকল শনিবার রাজধানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিমানবন্দর থানা জাসাসের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, অনেকেই বিএনপির নামে গিবত গাচ্ছে, কিন্তু বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশ এগোবে না। বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমৃদ্ধ করা যাবে না। গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিএনপি যত মামলার শিকার হয়েছে, পৃথিবীতে আর কোনো সংগঠন এরকম মামলার শিকার হয়নি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছিল, ৬ বছর তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের নারী শিক্ষায় সমৃদ্ধ করেছেন। শ্রমিক-কৃষকদের জন্য কাজ করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ধারায় রাজনীতি পরিচালনা করেছেন। শহীদ জিয়া আমাদের অহংকার, বেগম জিয়াও আমাদের অহংকার। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে তাড়ানোর ক্ষেত্রে তারেক রহমান আমাদের অহংকার। বিএনপির এই নেতা বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা শহীদ জিয়াকে বাংলাদেশের নেয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। এদেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। কিন্তু তার নামে একটা প্লট নাই, গাড়ি নাই, বাড়ি নাই, ব্যাংক ব্যালেন্স নাই। এখন একজন সংসদ সদস্য হলেই তো প্লট নেয়, গাড়ি নেয়। কিন্তু তিনি কিছুই নেননি। বিএনপিকে ঠেকানোর জন্য চারপাশে এক ধরনের প্রস্তুতি আমরা দেখছি বলে মন্তব্য করেন তিনি। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, হাসিনা তিনটা নির্বাচন তামাশা করেছেন নির্বাচনের নামে। প্রতিটি নির্বাচনের পরে তিনি বলেছেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। একটা মানুষের ন্যূনতম লজ্জা থাকা উচিত, কিন্তু হাসিনার সেটাও ছিল না। এখন দেশের জনগণ লাঠি দিয়ে তাড়িয়েছে—এখন কেমন লাগে? হাসিনার পুরো পরিবার চোর। ছেলে-মেয়ে, বোন, এমনকি বাসার চাকরও চোর। এরকম চোর পরিবার বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই। মুজিব পরিবারের একটা মানুষ এসে বলুক, আমি চুরি করি নাই, খুন করি নাই, মামলাবাজি করি নাই। একটা মানুষও পাওয়া যাবে না। এমনকি শেখ মুজিবকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে শেখ হাসিনা। ধানমন্ডির বাড়িটি ভেঙেছে শেখ হাসিনার কারণে। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে বলে অনেকেই অনেক কথা বলে। শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে নিজেই তো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এটা চোরের দল, এটা পচে গেছে, গলে গেছে। শেখ মুজিব ও তার কন্যা শেখ হাসিনার মতো এত বড় খারাপ শাসক বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টা আসেনি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা শেষ কাজটা এখনো করতে পারিনি। আমাদেরকে নির্বাচিত একটা সরকার আনতে হবে। জনগণের সরকার আনতে হবে। দেশপ্রেমিক একটা সরকার আনতে হবে—যে পাশের দেশে পালিয়ে যাবে না, পাশের দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে না। এরকম একটা সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার। কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব রোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর জাসাসের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম স্বপনসহ বিমানবন্দর থানা জাসাসের নেতাকর্মীরা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More