চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্সচালক লিটন ম-ল (৪৫) ও তার ছেলে রিয়াদকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই সদর হাসপাতাল এলাকায় থমথমে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহত লিটন মন্ডল চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ার মৃত. জুড়োন মন্ডলের ছেলে। এবং লিটনের ছেলে রিয়াদ। লিটন পেশায় অ্যাম্বুলেন্সচালক। ছেলে রিয়াদ বাবার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সেই থাকে। আহত লিটনের ভাই ইমন মন্ডল দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সচালক সিজানের সঙ্গে আমার ভাই লিটনের ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এরই জের ধরে ফার্মপাড়ার ইমরান ও চঞ্ঝল নামের দুই যুবক আমার ভাইয়ের ছেলে রিয়াদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে তারা। আমার ভাইকেও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে সদর হাসপাতালের মধ্যেই আমার ভাই ও ভাস্তেকে তারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। আমার ভাস্তে রিয়াদের অবস্থা খারাপ। হয়তো তাকে রেফার্ড করতে পারে চিকিৎসক। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সদর হাসপাতালে নিয়োজিত সদর থানা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) প্রবাস কুমার মিত্র দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, হাসপাতাল চত্বরে রিয়াদকে কুপিয়ে ও তার বাবা লিটনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। দুই অ্যাম্বুলেন্স চালকের মধ্যে দন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আহতরা জানিয়েছেন। তবে হামলাকারীদের নাম জানা যায়নি। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রিয়াদের শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সে আশঙ্কামুক্ত। এছাড়া তার বাবা লিটন আলীর মাথায় লাঠিসোটা জাতীয় কোন কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।¬¬

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More