মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২০০৮ সালে আইপিএলের শুরুর পর থেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে বেঙ্গালুরু। তিনবার ফাইনাল খেলেও সেই স্বপ্ন অধরাই ছিল। অবশেষে ২০২৫ সালে এসে এসে অধিনায়ক কোহলি ও দলের অপেক্ষার অবসান হলো। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ রান তোলে বেঙ্গালুরু। জবাবে পাঞ্জাব থেমে যায় ১৮৪ রানে। তাতে ৬ রানের জয়ে ১৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলে কোহলিরা। ১৯১ রান তাড়ায় ভালো শুরু করেছিল পাঞ্জাব কিংস। ওপেনার প্রবসিমরান সিং ও প্রিয়ন্স আর্য যোগ করেন ৪৩ রান। তবে আর্য ২৪ রান করে আউট হন হ্যাজেলউডের বলে। পাওয়ারপ্লেতে ৫২ রান তুলে দলটি ছিল ভালো অবস্থানে। প্রবসিমরান এরপর ২৬ রান করে ফিরে গেলে চাপ বাড়ে। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ১ রান করে আউট হন ইনিংসের দশম ওভারে। এরপর ২৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ফর্মে থাকা জশ ইংলিস। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিংয়ের একক লড়াই চোখে পড়ে। ৩০ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬টি ছক্কা ও ৩টি চার ছিল, তবে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া স্পেল। পাশাপাশি ২ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। এর আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর শুরুটা ছিল মাঝারি মানের। ফিল সল্ট মাত্র ১৮ রানেই ফিরলে চাপ আসে। কোহলি ও আগারওয়াল মিলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন, তবে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়ক রজত পাতিদার করেন ২৬ রান। বিরাট কোহলি ছিলেন ধীরগতির ৩৫ বলে করেন ৪৩ রান। তার বিদায়ের পর দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন জিতেশ শর্মা ও লিয়াম লিভিংস্টোন। মাত্র ১২ বলে তারা গড়েন ৩৬ রানের ঝড়ো জুটি। শেষদিকে শেফার্ড ৯ বলে ১৭ রান করে দলকে ১৯০ রানে পৌঁছে দেন। পাঞ্জাবের পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন আর্শদীপ সিং ও কাইল জেমিসন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.