ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার যদি এবার না হয়, তাহলে আর কোনোদিন হবে না। এই সময়ে রাষ্ট্র সংস্কার করতেই হবে। যদি সংস্কার না হয়, তাহলে গণঅভ্যুত্থানের ফল আসবে না। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়বিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রাশেদ খানের নেতৃত্বে কয়েকশ মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা ঝিনাইদহ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে হরিণাকু-ু উপজেলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। রাশেদ খান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে তার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে হাসিনা দিল্লিতে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। হাসিনা বার বার তার আওয়ামী লীগের পান্ডাদের মাঠে নামানোর চক্রান্ত করছে। হাসিনার সেই নিয়োজিত ফ্যাসিস্ট যারা ১৪ সালের ইলেকশন করেছে যেসকল ডিসি, এসপিরা। যার ১৮ সালের ইলেকশন করেছে। যারা ২৪ সালের ইলেকশন করেছে ওই ফ্যাসিস্ট সরকারি কর্মকর্তারা সরকারের কার্যক্রমে বাঁধা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে একসাথে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনে চাঁদাবাজ, দখলদার, মাফিয়া, ফ্যাসিস্টকে ভোট না দিয়ে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাশেদ। তিনি বলেন, আমাদের দল চাঁদাবাজি করে, এমন একটা প্রমাণ দিতে পারলে অবশ্যই আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। এখন মানুষ চাচ্ছে, ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসুক। দুই কেজি গোস্ত, ৫০০ টাকা আর ১০ কেজি চাল দিয়ে ভোটের রাজনীতি মানুষ এখন আর চায় না। ক্লিন ইমেজধারীদেরকে মানুষ পছন্দ করছে। আমার থেকে ভালো প্রার্থী যদি নির্বাচনে আসে, তবে অবশ্যই তাকে ভোট দিন। গণঅধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা বলেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এটা ঠিক না। আমি কোনোভাবেই সরে যাব না। আমার ভুল হলে আমাকে জানান। কিন্তু, ভিন্ন প্রক্রিয়ায় আমার দলকে প্রতিহত করলে তার ফল ভালো হবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, শৈলকূপা উপজেলা কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিশন আলীসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.